কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
যেসব শিক্ষক উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন, তাঁরাই এই বেতন বৃদ্ধির আওতায় পড়বেন। তার মধ্যে আবার বহু শিক্ষক পরে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েও ৫০ শতাংশ নম্বর অর্জন করেছেন। তবে যে শিক্ষকদের ৫০ শতাংশ নম্বর নেই, যোগ্যতা বৃদ্ধিও করেননি, সেই শিক্ষকরা এই বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন না। কবে থেকে এই বৃদ্ধি কার্যকর হবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট হয়নি। অন্যান্য রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকরা যে বেতন পান, তার চেয়ে এখানে অনেকটাই কম টাকা পান শিক্ষকরা। আন্দোলনের সময়ে সেই তথ্য তুলেও ধরেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। কিন্তু সেসময় সরকারের তরফে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করা হয়নি। তাতে এই শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছিল। তবে এবার সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই ক্ষোভ কমিয়ে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, আমরা দল তথা প্রশাসনের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম, সারা দেশে অন্যান্য রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন আমাদের তুলনায় বেশি। তা বিবেচনা করে আমাদের বেতন বৃদ্ধি করা হোক। সরকার আমাদের দাবির মান্যতা দিয়েছে শুনে আমরা খুশি। ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই বলেন, বেতন বৃদ্ধি হলে সিনিয়র শিক্ষকরা সব মিলিয়ে বাড়তি ১৫০০ টাকা পেতে পারেন। নবীন শিক্ষকদের বড়জোর ১২০০ টাকা বাড়বে। এতে আমরা সন্তুষ্ট নই। পিআরটি স্কেল নিয়ে আমাদের একটি মামলাও রয়েছে। শীঘ্রই তার শুনানি হবে। রাজ্য সরকার যে বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ভাবনাচিন্তা করছে, তাকে স্বাগত জানাই।
বেতন বৃদ্ধির খবর যেমন শিক্ষকদের জন্য সুখবর, তেমনই খুদে পড়ুয়াদের জন্যও সুসংবাদ আছে। এতদিন প্রাথমিকের ছাত্রছাত্রীদের পোশাক দেওয়া হতো। এবার প্রাক প্রাথমিকের বাচ্চাদেরও তা দেওয়া হবে। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে তা দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। ক’জোড়া পোশাক দেওয়া হবে, সেটা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি।