বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ১০ জুন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই চালু হয়ে যায় তাঁর দপ্তরের গ্রিভান্স সেল। কাটমানি ও কমিশন খাওয়া রুখতে এবং সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত লোকজনকে সঠিক পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি চালানোর দায়িত্ব বর্তায় সেলের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী ও তাঁর টিমের উপর। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, টোল ফ্রি নম্বর (১৮০০৩৪৫৮২৪৪), ই-মেল (wbcmro@gmail.com) এবং এসএমএসে (৯০৭৩৩০০৫২৪) গত আটদিনে প্রায় ১২০০ অভিযোগ এসেছে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের তালিকায় সিংহভাগ সরকারি প্রকল্প নিয়ে। বার্ধক্যভাতা, বিধবা ভাতা, আদিবাসী ভাতা না মেলার অভিযোগ এসেছে। আবার কেউ নির্মল বাংলা, বাংলা আবাস যোজনার মতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে কাটমানি চেয়েছেন। শেষকৃত্যের জন্য বরাদ্দ সমব্যথী প্রকল্প থেকেও ১০ শতাংশ কমিশন চাওয়ার অভিযোগও এসেছে স্থানীয় মাতব্বরের বিরুদ্ধে। আবার জোর করে জমি দখল করে রাখার অভিযোগও এসেছে নবান্নে। এরই সঙ্গে কেউ খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন, আবার কারও বাড়ি থেকে ৬০ মিটার দূরে এসে থেমে গিয়েছে নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্প, সেই বিষয়টিও পৌঁছেছে গ্রিভান্স সেলে। কোথাও আবার গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার একমাত্র বাসরুট বন্ধ হওয়ার অভিযোগও এসেছে। এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে তার সুরাহাও করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
ওই সূত্রটি জানিয়েছে, এই পর্যায়ে নবান্নের গ্রিভান্স সেলে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি ব্লকের অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের জিলিংটাঁড় গ্রামের এক অসহায় আদিবাসী বৃদ্ধা সুমিত্রা মুর্মুর বিষয়টি অভিযোগ আকারে আসে। জানা যায়, অসুস্থ ওই বৃদ্ধা প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও পাননি আদিবাসী পেনশনের মাসিক এক হাজার টাকা। নবান্নের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, অভিযোগ আসার পর জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে মাত্র দু’দিনের মধ্যেই বাঘমুণ্ডির বিডিও ওই আদিবাসী বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে পেনশনের কাগজপত্র পৌঁছে দিয়ে এসেছেন।