বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রাক বর্ষার বৃষ্টি অবশ্য ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েকদিন এই পরিস্থিতি থাকবে। শুক্রবার নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি তৈরি হলে বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা আশা করছেন। মঙ্গলবারের মতো বুধবারও দুপুরের পর থেকে কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হতে থাকে। তবে এদিন কলকাতায় গরমের তীব্রতা মঙ্গলবারের থেকে বেশি ছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি বেশি রেকর্ড হয়। সারা দিন ভ্যাপসা, অস্বস্তিকর গরমে জেরবার হতে হয়েছে মানুষকে। সন্ধ্যার পর বৃষ্টিতে অবশ্য খানিকটা স্বস্তি মেলে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আজ, বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কমবে। কিছু এলাকা ছাড়া তাপপ্রবাহের আশঙ্কা থাকছে না। আবহাওয়াবিদরা আশা করছেন, এই নিম্নচাপ পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি ছাড়াও মধ্য ভারতে বর্ষা টেনে আনার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এবারে দেশে বর্ষা বেশ ধীর গতিতে এগচ্ছে। একেই নির্ধারিত সময়ের আট দিন পর কেরল উপকূল দিয়ে স্থলভূমিতে বর্ষা ঢুকেছে। তারপরও মৌসুমি বায়ু বিশেষ সক্রিয় নয়। এই সময়ের মধ্যে দক্ষিণ, পশ্চিম, মধ্য ও পূর্ব ভারতের একটা বড় অংশে পুরোদমে বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। স্বাভাবিক নিয়মে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে গোটা দেশ বর্ষার আওতায় এসে যায়। জুন মাসে বৃষ্টির ব্যাপক ঘাটতি হলে তা বর্ষাকালের বাকি তিন মাসে পূরণ করা সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
কয়েকদিন আগে আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’ মৌসুমি বায়ুর অগ্রগতিকে থমকে দিয়েছিল। বায়ুর বিদায়ের পর উত্তর বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপটি তৈরি হচ্ছে, তা বর্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে চলেছে। বর্ষাকে সক্রিয় করার পিছনে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপগুলির বড় ভূমিকা থাকে। এই সময় বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন অংশে একের পর এক নিম্নচাপ তৈরি হতে থাকে।
মৌসুমি উত্তর রেখা বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের খুব কাছে চলে এসেছে। বঙ্গোপসাগরে এই অংশের সংলগ্ন এলাকার দক্ষিণবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে অবস্থান করছে। শুক্রবার নাগাদ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি তৈরি হলে বৃষ্টি বাড়বে। ওড়িশা ও অন্ধ্র তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টি পাবে। দক্ষিণবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ডও বৃষ্টি পাবে। -ফাইল চিত্র