বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
দলের গোষ্ঠী বিন্যাসে একসময় প্রবল অধীর-বিরোধী হিসেবে পরিচিত মান্নানের সঙ্গে বর্তমান প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্রের সম্পর্ক ইদানীং আদৌ ভালো নয়। অধীরের সঙ্গেও একই কারণে সোমেনের তেমন সখ্য নেই। এই কারণে হালে অধীর-মান্নান এক জায়গায় এসে প্রতিপক্ষকে অন্য বার্তা দিতে চাইছেন। মান্নানের পাশাপাশি এবার অধীরের জয়ের কঠিন লড়াইয়ের অন্যতম কারিগর তথা পরিষদীয় হুইপ মনোজ চক্রবর্তী সহ একাধিক বিধায়ক এবং অনুগামী নেতা গুচ্ছ গুচ্ছ শুভেচ্ছা বার্তা পাঠন নবনির্বাচিত সংসদীয় নেতাকে। কার্যত অধীর অনুগামী শিবিরে এদিন নানাভাবে সেলিব্রেশন পর্ব চলে রাত পর্যন্ত। প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে অধীরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কংগ্রেস রাজনীতিতে অধীরকে নিয়ে আসার পিছনে একসময় মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন সোমেনই। তাই ‘শিষ্যে’র উত্থানে ‘গুরু’র এই অভিনন্দন বার্তা বলে সোমেন শিবিরের ব্যাখ্যা।
বরাবরই তাঁর গায়ে প্রবল তৃণমূল বিরোধিতার স্ট্যাম্প থাকায় অধীরের প্রোমোশনে বেজায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে সিপিএমও। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী হর্ষচিত্তে অধীরকে অভিনন্দন জানান এদিন। তাঁর কথায়, এটা অবশ্যই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতে এসে বাংলার একজন রাজনীতিবিদ দেশের বিরোধী দলনেতার সমতুল পদে বসছেন বলে নিশ্চয়ই তাঁকে অভিনন্দন জানাব। এখন তাঁর ভূমিকার দিকে আমরা সবাই তাকিয়ে থাকব। বিজেপির রাজ্য নেতারা কেউ এদিন প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। তবে তীব্র মমতা-বিরোধী ব্র্যান্ডের মালিক অধীরকে ব্যক্তিগতভাবে দলের কয়েকজন অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন তাঁর লড়াকু ইমেজকে শ্রদ্ধা করেন বলে।