বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তাঁকে জেরা করার জন্য সিবিআইয়ের পাঠানো নোটিস খারিজ করতে রাজীব কুমার হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই সূত্রে ৩০ মে অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, হাইকোর্টে গ্রীষ্মাবকাশ শেষ হওয়ার পর থেকে এক মাস বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। সেইসঙ্গে বেশকিছু কড়া শর্তও আরোপ করেছিল আদালত। ফলে নিজ বাসভবনেই তিনি থাকতে বাধ্য হচ্ছেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।
কিন্তু, ওই নির্দেশ সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। তাদের বক্তব্য, আবেদনকারী সিবিআই নোটিস খারিজ করার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, ওই নোটিস পাওয়ার পর তিনি প্রথমে কোনও আপত্তি করেননি। তা বেআইনি, এমন দাবিও করেননি। ব্যক্তিগত কারণে তাঁকে আরও সময় দেওয়া হোক বলে জানিয়েছিলেন। এরপর তিনি ওই আবেদন করেছেন। ফলে সেই নোটিস সম্পর্কে আইনি প্রশ্ন তোলার সুযোগ তাঁর আছে কি? তাদের আরও বক্তব্য, নোটিস খারিজ করার আবেদনযুক্ত মামলায় কীভাবে এমন রক্ষাকবচ দেওয়া যায়? তা কি আইনানুগ? উল্লেখ্য, বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নির্দেশে বলেছিলেন, মনে করলে সিবিআই রায়টি বাতিল করার জন্য আবেদন করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, সারদা পঞ্জি কেলেঙ্কারি মামলায় রাজ্য সরকার গঠিত তদন্তকারী দল যেসব নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল, তা তাদের না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে সিবিআই রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করা হয়নি। এই অবস্থায় সিবিআই তাঁকে বিশেষভাবে জেরা করতে চায়। যা তিনি এড়ানোর চেষ্টা করে চলেছেন বলে সিবিআই বারংবার আদালতে অভিযোগ করে চলেছে।