কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
রেশন গ্রাহকের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণের কাজটি তাঁর রেশন ডিলারের মাধ্যমে হবে। ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস (ই-পিওএস) যন্ত্র ব্যবহার করে এটা করতে হবে রেশন ডিলারকে। কিন্তু রাজ্যের বেশিরভাগ রেশন ডিলার এই যন্ত্র পেয়ে গেলেও তা ব্যবহার করতে রাজি নয়। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে রেশন ডিলারদের টানাপোড়েন চলছে। সোমবার বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনও জানিয়ে দিয়েছে, আধার সংযুক্তিকরণ কোনও অবস্থাতেই ডিলাররা করবেন না। ই-পিওএস যন্ত্র চালু করতে গেলে রেশন ডিলারদের মাসে অন্তত ৫০ হাজার টাকা আয়ের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে বলে সংগঠনের সভাপতি মিহির দাস জানিয়েছেন। এমনিতেই এখন কমিশন থেকে যে আয় হয়, তাতে দোকান চালানোর খরচ ওঠে না। ডিলরাদের কার্ড অনেক কমে গিয়েছে। যন্ত্র চালু করতে গেলে প্রশিক্ষিত কর্মী লাগবে। এতে খরচ আরও বাড়বে।
খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ই-পিওএস যন্ত্র চালু ও আধার সংযুক্তিকরণ নিয়ে আগামী ২৭ জুন খাদ্যমন্ত্রী রেশন ডিলারদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন। কয়েকদিন আগে খাদ্যমন্ত্রী ডিলার সংগঠনগুলির সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন। তখন কমিশন কিছুটা বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে, অল ইন্ডিয়া ফেয়াস শপ ডিলারস ফেডারেশন এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে গোটা দেশে এই যন্ত্র চালু হচ্ছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হবে। ই-পিওএস চালু হওয়ার ফলে বিভিন্ন রাজ্যে রেশন দোকানে সমস্যা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে গ্রাহকদের হাতে ডিলারদের আক্রান্ত হওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আঙুলের ছাপের মাধ্যমে আধার নম্বর যাচাই না হওয়ার কারণে গোলমাল বাধছে। আধার নম্বর যাচাই না হলে নতুন ব্যবস্থায় গ্রাহক রেশনের চাল-গম পাবেন না। কিন্তু ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের দুর্বলতা সহ কারিগরি সমস্যার জন্য অনেক জায়গায় আধার নম্বর যাচাই করা যাচ্ছে না।
রাজ্য সরকারও নীতিগতভাবে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে আধার নম্বর যাচাই করে রেশন দেওয়ার বিরোধী হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে আধার সংযুক্তিকরণের নির্দেশিকা জারি করেছে। তবে রাজ্য সরকার চাইছে, আধার যাচাই না হলেও ই-পিওএস চালু হোক। এতে রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আসবে। ডিজিটাল রেশন কার্ডে ওই যন্ত্রে সোয়াইপ করে গ্রাহক খাদ্যসামগ্রী তুললেই সেই তথ্য খাদ্য দপ্তরের ডেটাবেসে চলে আসবে।