গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের প্রথম দফার ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ। তাতে ৫০ শতাংশ আসনে পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন। বাণিজ্য, ইংরেজি, জুলজিতে ভালো সাড়া মিললেও দর্শন, সোশিওলজির মতো বিষয়ে ভর্তির হার কম। মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে সার্ভার বিকল হয়ে পড়ায় ভর্তির প্রক্রিয়া কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে এই গোলমালের মধ্যেও ৫৫০ জন ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। কলেজে মোট আসন সংখ্যা ১৫০০। ১৯ জুন তারা দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ৭৪১ জন ভর্তি হয়েছেন। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় বলেন, আমাদের এখানে ৬০ শতাংশ আসন ভরে গিয়েছে। ৫০০টি আসনের মধ্যে ৩০০টিতে ভর্তি হয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। তবে আগে এতটা হতো না। এবার যে ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে, তা খুবই ইতিবাচক। সরশুনা কলেজে ১৭৫০টির মধ্যে ৯৬২টি আসন ভরেছে। অধ্যক্ষ শুভঙ্কর ত্রিপাঠির কথায়, আমাদের দু’টি তালিকার ভর্তি হয়ে গিয়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তি একটু কম হয়েছে। তবে আমাদের চিন্তা অন্য জায়গায়। বহু পড়ুয়াই একাধিক কলেজে ভর্তি হয়ে রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত কোন কলেজ ছাড়বেন তাঁরা, তা তো এখন বোঝা যাবে না। কারণ কাউন্সেলিং হচ্ছে না। ফলে পরে দেখা যেতে পারে আমাদের এখানে বহু আসন খালি পড়ে রইল। এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, আমাদের তিনটি কলেজ (প্রাতঃ, দিবা এবং সান্ধ্য) মিলিয়ে দু’ হাজারের মতো আসন। তার মধ্যে ১৩০০টি ভরেছে। অর্থাৎ, ৬০ শতাংশ আসন পূরণ হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কতজন ছেড়ে যাবে, তা বোঝা যাচ্ছে না। ফলে সেটা একটা চিন্তার বিষয়।
ভর্তির এই চিত্র দেখে অনেক কলেজই এখন তৃতীয়-চতুর্থ তালিকার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। কারণ তাদের মতে, প্রথম দিকে নামী কলেজগুলিতেই ভর্তির হুড়োহুড়ি থাকে। শেষে গিয়ে দেখা যায়, মাঝারি এবং ছোট কলেজগুলিতে ভর্তির হিড়িক বাড়ে। তবে এই দফার ভর্তি শেষ হলে যে আসন পড়ে থাকবে, তার জন্যও নতুন করে ফর্ম দেওয়া হবে বলে চিন্তাভাবনা রয়েছে বেশ কিছু অধ্যক্ষের।