কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তবুও তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশ, স্রেফ বাংলায় শপথ নেওয়াই নয়। আগামীদিনে সংসদের অধিবেশনে বিতর্কে অংশ নিয়ে বাংলা ভাষাতেই মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে হবে। যাতে বাংলা ভাষার গৌরব এবং গভীরতায় বাংলার মানুষকে প্রভাবিত করা যায়। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে আটকানো যায়। তৃণমূলের কৌশল, মোদি-অমিত শাহর দল যত বেশি করে ‘হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্থানে’র পক্ষে সওয়াল চড়াবে, তৃণমূল ততই বাংলা ভাষায় সরব হয়ে বিজেপিকে বধ করবে।
একইসঙ্গে সংসদে বাংলার বিজেপি এমপিদের তোলা জয় শ্রীরাম ধ্বনিকেও মোকাবিলা করা হবে। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়বে, ‘স্রেফ স্লোগান নয়। শ্রীরাম স্তুতি মন্ত্র শোনাতে হবে। তবেই বুঝব কতটা রামভক্ত।’ মন্তব্য করেন তৃণমূলের লোকসভার মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদীয় দলের নেতা লোকসভার এমপি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘বিজেপি জয় শ্রীরাম বললে আমরাও পাল্টা জয় হনুমান স্লোগান দেব।’
সংসদের প্রথম দিনেই তৃণমূল বুঝিয়ে দেয়, মোদির দাপটে এবার জোড়াফুলের আসন সংখ্যা ৩৪ থেকে কমে ২২ হলেও সংখ্যাটি মোটেই কম নয়। রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে তৃণমূলই সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। রাজ্যেও সরকারে আছে তৃণমূল। তাই বিজেপি আগ্রাসী হলেও দুই মন্ত্রী সহ ১৮ জন এমপি নিয়ে বাংলাকে রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্ত করতে পারবে না, বলছেন দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান।
প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের পর রাজ্যের নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী এমপিদের শপথ গ্রহণ শুরু হয়েছে লোকসভায়। সেই সিরিজে আজ অসম, অরুণাচল, বিহার, গুজরাতের মতো রাজ্যের এমপিদের শপথ হয়েছে। আগামীকাল হবে উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ সহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। তৃণমূলের দুই প্রথমবার জেতা সেলিব্রেটি এমপি নুসরত জাহান এবং মিমি চক্রবর্তী ব্যস্ত থাকায় আসেননি। আগামীকালও দলের অন্যদের সঙ্গে শপথ নেবেন না। তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘নুসরতের বিয়ে। তাই ব্যস্ত। মিমিও আসতে পারবে না বলে দলকে জানিয়ে দিয়েছে। ওঁরা আগামী ২৫ জুন শপথ নেবে।’