বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নাগপুরে রবিবার শেষ হয় সঙ্ঘ স্বেচ্ছাসেবকদের তৃতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ পর্ব। সেই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মোহন ভাগবত। রাজনৈতিক হিংসার জন্য সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাজ্যবাসীর স্বার্থে কড়া হাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে মমতা সরকারকে। এরপরেই কোনও দলের নাম না করে ভাগবত বলেন, হিংসায় একটি নির্দিষ্ট দলের কর্মীদের মৃত্যু হচ্ছে। আর তার প্রতিবাদে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের ‘বহিরাগত’ বলা ভুল। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে যেকোনও সমস্যা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় বহিরাগতদের দায়ী করে থাকেন।
বাংলায় চলতে থাকা হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সঙ্ঘ প্রধান বলেন, ‘এমন ঘটনা কি কখনও আগে ঘটেছে? প্রশাসনকেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে যা ঘটছে, তা হওয়া উচিত ছিল না। যদি কয়েকজন দুষ্কৃতী তাদের পেশিশক্তি দিয়ে একাজ করতে চায়, তাহলে এটা প্রশাসনের দায়িত্ব তার মোকাবিলা করা।’ ভাগবত আরও বলেছেন, ‘যাঁরা মারা যাচ্ছেন, তাঁরা কয়েকটি দলের কর্মী-সমর্থক। আর খুনিরাও কোনও একটি দলের বা দুষ্কৃতী। কিন্তু, তাই বলে বহিরাগতরা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে, এ ধরনের মন্তব্য করা ঠিক নয়।’
রামমন্দির নিয়েও পরোক্ষে মুখ খুলেছেন সঙ্ঘ প্রধান। তিনি বলেছেন, গত পাঁচ বছরে প্রতিশ্রুতি রাখার জন্য দেশবাসী বর্তমান সরকারের উপর আস্থা রেখেছে। যদিও, কিছু প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ হয়নি। সঙ্ঘ ও সোসাইটি কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নয় জানিয়ে ভাগবত আরও বলেছেন, ‘১০০ শতাংশ ভোটদানের জন্য আমরা চেষ্টা করেছি। এবং আমরা মনে করি, সেই চেষ্টা পুরোপুরি সফল না হলেও ফল ধরেছে।’ জনগণ প্রতিটি নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিণত বয়স্ক হিসেবে একতার সঙ্গে ভোট দিচ্ছে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন সঙ্ঘ প্রধান।