কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের কাজে ফেরার আবেদন জানানোর পর প্রথমে অনড় থাকলেও, রাতে সুর নরম করে আলোচনায় রাজি হন আন্দোলনকারীরা। কোথায় বৈঠক হবে এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা স্থির করতে রবিবার দীর্ঘ বৈঠক করেন তাঁরা। বিকেলে প্রেস বার্তায় ক’টি শর্ত আরোপ করে তাঁরা জানান, বৈঠকের স্থান স্থির করুক প্রশাসন। আলোচনায় বসতে সমস্যা নেই। শুধু সেখানে যেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে পর্যাপ্ত প্রতিনিধি এবং রাজ্য ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা থাকেন।
অন্যদিকে, আজই আবার বাংলার চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনার নিন্দায় দেশব্যাপী চিকিৎসক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। প্রতি হাসপাতালকে ‘সেফ জোন’ ঘোষণা, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সিসিটিভি রাখা এবং বাইরের লোকজনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ— এগুলি আইএমএ’র মূল দাবি। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিগ্রহ রুখতে কড়া কেন্দ্রীয় আইন আনারও দাবি তাদের। আজ ধর্মঘটে জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দিলেও আউটডোর ও সমস্ত প্ল্যানড অপারেশন বন্ধ থাকবে। সর্বভারতীয় আইএমএ’র সভাপতি ডাঃ শান্তনু সেন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার মুখে বড় বড় কথা না বলে চিকিৎসক নিগ্রহ নিয়ে কড়া আইন বানাক। যেহেতু ইতিমধ্যেই বাংলায় ক’দিন ধরে স্বাস্থ্য পরিষেবায় অচলাবস্থা চলছে, রাজ্যের সরকারি চিকিৎসা ক্ষেত্রকে আজকের ধর্মঘটের বাইরে রাখা হচ্ছে। বেসরকারি পরিষেবায় ধর্মঘট বহাল থাকবে। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মুখপাত্র জানান, তাঁরা আইএমএ’র সদস্য নন। তাঁরা তাঁদের মতোই চলবেন।
এদিকে, চিকিৎসক নিগ্রহ ও সামগ্রিক অবস্থার প্রতিবাদে সরকারি চিকিৎসকদের প্রতীকী গণইস্তফা হাজার ছাড়িয়েছে। শনিবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অমর ঘোষ (৬৫) ও রবিবার সকালে গোবিন্দ ছেত্রী (৪৭) নামে দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ধর্মঘটের জেরেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে, হাসপাতালে অব্যবস্থার জেরে ছুটি কাটছাঁট করে ডিউটিতে ফিরেছেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষ। সেখানে ইমার্জেন্সি, ব্লাড ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ হচ্ছে বলে জানিয়ে আজ পোস্টার টাঙিয়েছেন ডাক্তাররা। বর্ধমান মেডিক্যালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি অব্যাহত। বাঁকুড়া মেডিক্যালে ডাক্তারদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে স্থায়ী ফাঁড়ি ও ২৪ ঘণ্টার সশস্ত্র পুলিস থাকবে বলে পুলিস ও হাসপাতাল জানিয়েছে। তবে কর্মবিরতি না ওঠায় এদিনও পরিষেবা ব্যাহত হয়। একই চিত্র ছিল মেদিনীপুর মেডিক্যালেও।