বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০১৪ সালে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির সরকার গঠন হওয়ার পর রজ্যে বিজেপি প্রভাবিত কর্মী সংগঠন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মী সংগঠন সহ আরও কয়েকটি সরকারি কর্মী সংগঠনের কিছু নেতা বেরিয়ে এসে কর্মচারী পরিষদ গঠন করেন। মৌলালি যুব কেন্দ্রে ২০১৫-এর জানুয়ারি মাসে পরিষদের প্রথম সম্মেলনে তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাহুল সিনহা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে যে রাজ্য কমিটি গঠন করা হয়, তার সভাপতি হন অনির্বাণ চৌধুরী। সহ সভাপতি পদে প্রাণবন্ধু নাগ ও দুই সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন অমিয় সরকার ও দেবাশিস শীল। পরবর্তীকালে অনির্বাণবাবু পদত্যাগ করে সংগঠন থেকে দূরে সরে যান। এখন রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব আহ্বায়ক হিসেবে দেবাশিসবাবু দিচ্ছেন। পরিষদের অন্য গোষ্ঠীর সভাপতি অমিয়বাবু ও সাধারণ সম্পাদক প্রাণবন্ধুবাবু। দুই পক্ষের নেতারা দাবি করছেন, তাঁরাই প্রকৃত কর্মচারী পরিষদ। অন্য পক্ষ কী করছে সেটাতে তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দুই পক্ষের দাবি, রাজ্য বিজেপি নেতারা তাঁদের সঙ্গে আছেন। প্রাণবন্ধুবাবু জানিয়েছেন, গত বছরের জুলাই মাসে আলিপুর জাতীয় গ্রন্থাগারের প্রথম রাজ্য সম্মেলনে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই রাজ্য কমিটি গঠিত হয়। দেবাশিসবাবু জানিয়েছেন, দিলীপবাবু তাঁদের আয়োজিত সভাতেও এসেছেন। রাজ্য বিজেপির সাধাণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু তাঁদের পর্যবেক্ষক। দেবাশিসবাবুর দাবিতে পরিষদের অন্য অংশের নেতৃত্ব করছেন বলে যাঁরা দাবি করছেন, তাঁরা ২০১৫ সালের পর সংগঠন থেকে বেরিয়ে যান। তিনি কমর্চারী পরিষদকে এগিয়ে নিয়ে যান। অন্য অংশের নেতাদের দাবি, সংগঠনের সভাপতি নিজেই পদত্যাগ করে চলে যাওয়ার ফলে রাজ্য কমিটি ভেঙে গিয়েছিল। তাঁরা পরবর্তীকালে নিয়ম মেনে নতুন রাজ্য কমিটি গঠন করেছেন।
কোনও রাজনৈতিক দলের সরাসরি কোনও সরকারি কর্মী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রথা নেই। দেবাশিসবাবুর দাবি, বিজেপি নেতৃত্বের অনুমোদন নিয়ে দলের অধীনস্থ শাখা বা সেল হিসেবে তাঁরা কাজ করছেন। তাই সংগঠনের আহ্বায়ক পদে আছেন তিনি। অন্য অংশের বক্তব্য, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকৃত শ্রমিক সংগঠন এনএফআইটিইউ-র অনুমোদন নিয়ে কমিটি গঠন করেছেন। উল্লেখ্য এনএফআইটিইউ-র রাজ্য সভাপতি পদেও অমিয়বাবু আছেন। তিনি নিজেও বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্যও। অমিয়বাবু অবশ্য জানিয়েছেন, সবাই মিলে কাজ করাটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।