গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্কুলের এই ছুটি কমানো নিয়ে বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আবহাওয়া দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছে সরকার। বর্ষা এসে যাবে, আর সেরকম তীব্র গরমের পরিস্থিতি থাকবে না। কিন্তু স্কুল খোলার পর থেকে আবহাওয়ার একেবারে ভিন্ন চিত্র। বর্ষার নাম নেই। উল্টে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে কীভাবে যাবে বাচ্চারা, তা নিয়ে চিন্তায় শিক্ষক-অভিভাবকরা। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের তরফেও শিক্ষা দপ্তরের কাছে এই সময়টা স্কুল বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়েছে।
বাঁকুড়া-পুরুলিয়া জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কী করে বাচ্চারা স্কুলে যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। সেখানকার জেলা পরিদর্শক তাই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, যে সব স্কুল বেলায় শুরু হয়, তা সকাল সকাল শুরু হবে। বেলা হতেই ছুটি হয়ে যাবে। ওই জেলার শিক্ষক সুমন্ত সাঁতরা বলেন, ভোর কিংবা একেবারে সকালে যে সব স্কুল শুরু হয়, সেখানে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার তুলনামূলক ভালো। কিন্তু বেলার স্কুলগুলিতে বাচ্চারা সেভাবে আসছে না। পুরুলিয়ায় এই রকম কোনও বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া হলেও, স্কুলগুলি নিজেরাই সকালে শুরু করে দিচ্ছে পঠনপাঠন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু স্কুলেও একই অবস্থা। ভদ্রপাড়া গিলারছাঁট হাইস্কুলের শিক্ষক প্রণব পাইকের কথায়, এখানে বহু স্কুল সকালে শুরু হয়ে যাচ্ছে। একটা-দেড়টা নাগাদ মিড ডে মিল খাইয়ে ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণভাবে চড়া রোদে এই সময়ের পরে স্কুল করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। তাই সরকার এই সময়টা স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে অনেক সুবিধা হবে।