পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, প্রতিটি জেলার পুলিস সুপার ও কমিশনারেটগুলির কাছে এই টাকা পাঠানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, যেহেতু কমিশনারেট এলাকাগুলি শহর লাগোয়া, তাই কিছুটা হলেও বাড়তি গুরুত্ব পাবে তারা। কারণ এই সমস্ত এলাকায় তুলনামূলকভাবে কিশোরী, তরুণীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের উপর বেশি শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে।
কীভাবে চালু হবে এই প্রকল্প এবং কাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে? সুকন্যা নামে এই প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে তিনশো স্কুলের বাছাই করা ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতিটি কমিশনারেট ও জেলায় মেয়েদের স্কুলগুলির মধ্য থেকে ১০টি স্কুলকে বাছাই করা হবে। ওইসব স্কুলে যাবেন স্থানীয় থানার আইসি বা দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিস আধিকারিকরা। এই ধরনের প্রশিক্ষণের কেন প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তা তাঁরা ব্যাখ্যা করবেন। ধীরে ধীরে সমস্ত স্কুলকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলা ও কমিশনারেটগুলির কাছে কাজ শুরু করার নির্দেশ গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রতিটি স্কুল থেকে ৪০ জন ছাত্রীকে নেওয়া হবে। দু’টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ চলবে। একটি ব্যাচে থাকবে ২০ জন ছাত্রী। ঘণ্টাখানেক চলবে এই প্রশিক্ষণ।
কেন স্কুলকেই বাছাই করা হল? রাজ্য পুলিসের এক কর্তার কথায়, আসলে যারা আক্রান্ত হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে তাদের বেশিরভাগই স্কুলপড়ুয়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা জানে না, তাদের উপর অপরাধের ঘটনা ঘটলে তার শাস্তি কী হতে পারে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে আইনও তাদের জানা দরকার। অনেকেই এর প্রতিবাদ করতেও ভয় পায়। আক্রান্ত হয়েও পিছিয়ে যায়। যার সুযোগ নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। স্কুলস্তর থেকেই যদি তাদের সুরক্ষার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যতে তার সুফল মিলবে। যে কোনও জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে তারা রুখে দাঁড়াতে পারবে। পরবর্তী পর্যায়ে কলেজ ছাত্রীদের নিয়েও ভাবা হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশিক্ষণে খালি হাতে কীভাবে অপরাধীদের মোকাবিলা করতে হয়, তা শেখানো হবে। এর জন্য ক্যারাটে থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষকরাই স্কুলে ছাত্রীদের এসব শেখাবেন। দুষ্কৃতীরা যদি আগ্নেয়াস্ত্র বা মারাত্মক কোনও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পথ আটকায়, তাহলে তার মোকাবিলা কীভাবে করতে হবে, তারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে যে কোনও অবস্থায় একজন কিশোরী বা তরুণী দুষ্কৃতীকে ঘায়েল করতে পারে। পুলিসকর্তাদের আশা, আত্মরক্ষার কৌশল শিখতে পারলে তারা আত্মবিশ্বাসী হতে পারবে। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব হবে তাদের পক্ষে। পাশাপাশি জেলা বা কমিশনারেট এলাকায় তরুণী বা কিশোরীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও কমে আসবে বলে আশা পুলিসের।