কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিসি তদন্তে উঠে আসছে, ১০ জুন এনআরএসের মেডিসিন ওয়ার্ডে সন্ধ্যা পৌনে ছ’টা নাগাদ মৃত্যু হয় বিবিবাগানের বাসিন্দা বৃদ্ধ মহম্মদ সইদের। এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে ওয়ার্ডের মধ্যেই দুই মহিলা সহ তিন জুনিয়র ডাক্তারকে রোগীর আত্মীয়রা নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। এর জেরেই ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন আক্রান্ত ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি ছিল, ক্ষমা না চাইলে, মৃতদেহ আটকে রাখা হবে এবং ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। তদন্তে পুলিস প্রশ্ন তুলছে, ডাক্তাররা কীভাবে মৃতদেহ আটকে রাখার মতো বেআইনি কাজ করেন?
এরপর ডাক্তারদের দাবি মেনে ক্ষমাও চেয়ে নেয় রোগীর পরিবার। কিন্তু তাতে ডাক্তাররা সন্তুষ্ট হননি। তাঁদের দাবি ছিল, ওয়ার্ডে গিয়ে কেবলমাত্র নিগ্রহকারীদের ক্ষমা চাইতে হবে। এতে জটিলতা বাড়তে শুরু করে। মৃতদেহ আটকে রাখার খবরে রাত ১১টা নাগাদ হাসপাতালে ভিড় জমাতে থাকে বিবিবাগানের একদল বাসিন্দা। পাশাপাশি হোস্টেল থেকেও জুনিয়র ডাক্তাররা দল বেঁধে বেরিয়ে আসেন। আচমকাই হাতিহাতি শুরু হয় ডাক্তার ও বিবিবাগানের বাসিন্দাদের মধ্যে। হাঙ্গামার ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, সাদা জামা পড়া এক যুবককে (রোগীর পরিবারের সদস্য) মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে মারছেন ডাক্তাররা। প্রশ্ন উঠছে, ডাক্তাররা কীভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেন? উল্লেখ্য, অতীতে চোর সন্দেহে কোরপান শাহকে এই এনআরএসেই পিটিয়ে মারা হয়েছিল।
তদন্তে নেমে পুলিস একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। যা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, রাত ১২টা নাগাদ আক্রান্ত হন জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়। ফুটেজ বলছে, দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া পাথর পরিবহের কপালে লাগে হাসপাতালের বাইরে এজেসি বোস রোডে ট্রাম লাইনের কাছে। যা থেকে পরিষ্কার, সেই রাতে বিবিবাগানের লোকজনকে সবক শেখাতে গিয়ে হাসপাতালের বাইরে পরিবহ আক্রান্ত হয়েছিলেন।