নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২০১৬ সালে বাম ও কংগ্রেসের নির্বাচনী সমঝোতা হওয়াতেই ঠেকানো গিয়েছিল বিজেপির বাড়বাড়ন্ত। এবার তেমন কিছু শেষপর্যন্ত না হওয়ায় মানুষের কাছে তৃণমূল-বিরোধী শক্তি হিসেবে বিজেপি সমর্থন বাড়াতে পারল। তাই এই নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে ২০২১ বিধানসভার অনেক আগে থেকে বামেদের সঙ্গে একযোগে আন্দোলন, সংগ্রাম করে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। শনিবার বিধান ভবনে প্রদেশ কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠকে নেতারা এই মনোভাব প্রকাশ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ থেকে শুরু করে প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য, দীপা দাশমুন্সি, নেপাল মাহাত, অমিতাভ ভট্টাচার্য প্রমুখ। সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত বেশিরভাগ সদস্যই এ রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য বামেদের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন। বৈঠকের শেষে প্রকাশিত বিবৃতিতে অবশ্য বামেদের নাম উল্লেখ না করে লেখা হয়েছে, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূল ও বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে একযোগে আন্দোলন গড়ে তুলতে সমমনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে কংগ্রেস। যার অর্থ, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের এক-দু’মাস আগে নয়, এখন থেকেই বামেদের সঙ্গে জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে কথা এগিয়ে রাখা এবং যৌথ আন্দোলন কর্মসূচি নিতে চাইছে তারা।
এদিকে, এদিন বিধান ভবন থেকে কিছুটা দূরে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকলেও কর্মসমিতির বৈঠকে আসেননি অধীর চৌধুরী, আবদুল মান্নান, সাদাব খান সহ এই নেতাদের ঘনিষ্ঠরা। এদিন বিকেলে প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠক যখন বিধান ভবনে শুরু হচ্ছে, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তালতলা মুসলিম ইনস্টিটিউটে অধীরবাবুকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে ছিলেন আব্দুল মান্নান। তাঁরা জানান, দলের কাজেই ব্যস্ত থাকায় ওই বৈঠকে থাকা হয়নি। অধীরবাবু রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই তোপ দাগেন। তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রীর দেমাক, দাম্ভিকতা অহংকারের জন্যই স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।