গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত ৬ জুন খাদ্য দপ্তরে চিনি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ফুড কমিশনার মনোজ আগরওয়াল সহ দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা ছিলেন। বৈঠকের কার্যবিবরণীতে চিনি সম্পর্কিত বিষয় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলির কথা জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত নীতি অনুযায়ী এখন জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা শুধু অন্ত্যোদয় রেশন গ্রাহকরা ভর্তুকি মূল্যে নিয়মিত চিনি পান। শুধু রমজান মাস ও পুজোর আগে জাতীয় প্রকল্পের আওতায় থাকা অন্য দুই শ্রেণীর রেশন গ্রাহকদের চিনি দেওয়া হয়। এই বিশেষ বরাদ্দের ক্ষেত্রে চিনি দেওয়ার ভর্তুকির আর্থিক দায় রাজ্য সরকার বহন করে। খাদ্য দপ্তরের বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা যাচ্ছে, অর্থ দপ্তর রমজান মাসে রেশনে চিনির জন্য ভর্তুকি দিতে এবার ৭ কোটি ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল। পরিবার পিছু দুই দফায় ৫০০ গ্রাম করে চিনি দেওয়া হবে বলে খাদ্য দপ্তর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রেশন গ্রাহকদের জন্য দাম ধার্য হয়েছিল কেজি প্রতি ৩২ টাকা।
এই চিনি সরবরাহ করার জন্য যে টেন্ডার ডাকা হয়, তাতে টন পিছু সর্বনিম্ন দাম ওঠে ৩৯ হাজার ৪৫০ টাকা। অর্থাৎ কুইন্টাল প্রতি দাম ৩৯৪৫ টাকা। খাদ্য দপ্তরের বৈঠকের কার্যবিবরণীতেই উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি সংস্থা এনইসিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী ওই সময়ে পাইকারি বাজারে চিনির দাম ছিল ৩৫৫০ থেকে ৩৬৪০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ সরকারিভাবে স্বীকার করা হচ্ছে, বাজার দরের থেকে প্রতি টনে প্রায় তিন হাজার টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে। দাম বেশি নেওয়া হলেও যেহেতু রমজান মাসে চিনি সরবরাহ জরুরি ছিল, তাই একরকম বাধ্য হয়ে ওই দামেই চিনি কেনায় অনুমোদন দেয় অর্থ দপ্তর। তবে পুজোর সময় চিনি সরবরাহ করার জন্য নতুন করে টেন্ডার ডাকতে তখনই নির্দেশ দেওয়া হয়।
দাম অনেক বেশি নিলেও টেন্ডারের শর্ত মানতে সরবরাহকারী সংস্থাটি ব্যর্থ হয়। অত্যাবশ্যকীয় নিগমের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই সংস্থাটির ৮১৩১ টন চিনি সরবরাহ করার কথা থাকলেও, ৩ জুন পর্যন্ত তারা ৪৭৪১ টন দিতে পারে। এর ফলে ৬০ শতাংশ রেশন গ্রাহককে চিনি ওই সময় পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ওনরাস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, বহু রেশন গ্রাহক যে রমজান মাসের বিশেষ চিনির বরাদ্দ পাননি, সেটা তাঁরাও খাদ্য দপ্তরকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
কম পরিমাণ চিনি সরবরাহ ছাড়াও অন্য শর্তও ভেঙেছে সংস্থাটি। টেন্ডারের শর্ত ছিল ২২টি জেলাতেই তাদের নিজস্ব গুদাম থাকতে হবে। কিন্তু ২০ মে সরবরাহ শুরু হওয়ার সময় তাদের মাত্র ৯টি গুদাম ছিল।