বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ধর্মঘট দু’দিন পেরতেই গত বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষমতায় আসা ইস্তক এত তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে তাঁকে দেখা যায়নি। মমতার অবশ্য দাবি, বহিরাগতরাই গোলমাল পাকাচ্ছে। সময় বেঁধে কর্মবিরতি তুলে নিতে রীতিমতো হুমকি দেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকে গোটা রাজ্যেই চিকিৎসকরা তো বটেই, ভিন রাজ্যে এমনকী খোদ দিল্লিতেও তার আঁচ ছড়িয়ে পড়ে। এর আগেই ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তৃণমূল সাংসদ শান্তুনু সেনের স্ত্রী কাকলি সেনও সোশ্যাল মিডিয়ায় এনআরএস-কাণ্ড নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের সমর্থনে সরব হয়েছিলেন। তৃণমূল পরিবারের অন্দরের এই বেসুরো আওয়াজ শাসকের বিড়ম্বনা বাড়িয়েই চলেছে। এমনকী মমতা এ বিষয়ে কঠোর হওয়া সত্ত্বেও এই উল্টো সুর ক্রমশ চড়তে শুরু করেছে। হস্টেল ফাঁকা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উচ্ছেদ হলে তাঁদের কলেজে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত ফিরহাদের কন্যা। যা একপ্রকার মুখ্যমন্ত্রীকেই পাল্টা চ্যালেঞ্জের শামিল। দলের নেতাদের পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের এহেন আচরণ কি চাপে ফেলে দিয়েছে তৃণমূলকে? প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া দাওয়াইয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। সেই চাপ থেকে মুক্তি পেতে এবার মেয়র থেকে শিক্ষামন্ত্রী, সেলিব্রিটি সাংসদ থেকে বিধানসভা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রান্তদের প্রতি সহানুভূতিশীলতা যেমন প্রকাশ করেছেন, তেমনই অসহায় রোগীদের পাশে থাকার জন্য আবেদন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যতটা কঠোর ছিলেন, শাসক দলের এই প্রতিনিধিরা ততটাই বিনয়ী হয়ে আসরে নেমেছেন।
তৃণমূল মহাসচিব পার্থবাবু আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানাই, যতই ভুল বোঝাবুঝি হোক না কেন, মানুষের উপর বিশ্বাস রাখো। তাঁর মতে, পড়ুয়া-চিকিৎসকরা তাঁদের অভিমানের বিষয়গুলি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান খোঁজা হোক। তিনি বলেন, তোমাদের নিরাপত্তা যেমন দরকার, তেমনই রোগগ্রস্ত মানুষ তোমাদের সেবায় ভালো হয়ে উঠুক, সেটাই চাই। তাই আবেগ নয়, হৃদয় দিয়ে বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছেন পার্থবাবু। কলকাতার মেয়রের অনুরোধ, পরিষেবা চালু করুন। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এটাকে মানবিকতার স্বার্থে দেখুন। ফিরহাদ হাকিমও আন্দোলনকারীদের দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার আবেদন জানিয়েছেন।