পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রোগীর আত্মীয়পরিজনদের হাতে ধারাবাহিকভাবে নিগৃহীত ডাক্তারদের এমন আন্দোলনের সূত্রপাত এই শতাব্দীর প্রায় শুরু থেকে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পিপলস ফর বেটার ট্রিটমেন্ট (পিবিটি) ও তার কর্ণধার প্রবাসী ডাক্তার কুনাল সাহা সেই ২০০৬ সাল থেকে ডাক্তারদের এমন আন্দোলনের বিরোধিতা করে একের পর এক মামলা করছেন। ১০ জুন নীলরতন সরকার হাসপাতালে ডাক্তার নিগ্রহের প্রতিবাদে ১১ জুন থেকে সেখানে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা বন্ধ করার জন্য এই মামলাকারীর তরফে এনআরএস-এর সুপারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও সেই আন্দোলন সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল বা রাজ্য সরকার স্রেফ নীরব দর্শকের মতো আচরণ করছে বলে এদিন হাইকোর্টে অভিযোগ পেশ করা হয়।
মামলাকারীর দাবি, তাঁর আগের মামলা সূত্রে এই হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট বারবার বলেছে, এই মহান পেশার (ডাক্তারি) সঙ্গে যুক্তরা কর্মবিরতি আন্দোলনের পথে যেতে পারেন না। গেলে কাউন্সিল বা মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে পারবে। উল্লেখ্য, এই একই কারণে হওয়া অন্য একটি জনস্বার্থ মামলায় আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার আদালতকে জানিয়েছেন, গ্রিক দার্শনিক ‘হিপোক্রিট’-এর আদর্শ অনুসরণে ডাক্তাররা আর্তের সেবার জন্য যে শপথ নেন, তারপর এমন আন্দোলন অনভিপ্রেত। অন্যদিকে পিবিটি চায়, যে ডাক্তাররা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে নির্দেশ দিক আদালত। অবিলম্বে এই আন্দোলন বন্ধ করার জন্য কাউন্সিল ও রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হোক। সেইসঙ্গে আন্দোলনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত রোগীদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়ার জন্যও আবেদন করা হয়।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের তরফে এদিন আদালতকে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলন বন্ধ রাখার জন্য আবেদন করলেও তাতে সাড়া মেলেনি। অন্যদিকে ডাক্তারদের উপর হামলার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৯ তারিখ পর্যন্ত যাদের বন্দি থাকতে হবে।