গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন বিধানসভা ভবনের প্রেস কর্নারে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে এই যৌথ উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেন কংগ্রেস পরিষদীয় তথা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁরা একই সুরে বলেন, ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দল একে অপরের সঙ্গে হিংসার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তাদের এই শক্তির লড়াইয়ের বলি হচ্ছেন সাধারণ মানুষ তথা সমর্থকরা। রাজ্যকে বিরোধীশূন্য করার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঔদ্ধত্য চরমে ওঠার কারণেই আজ বাংলায় কার্যত জঙ্গলের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। প্রশাসন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। লাগামহীন অরাজকতা চলছে সর্বত্র। এমন একটা পরিস্থিতিতে আমরা কয়েকটি উপদ্রুত এলাকায় নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাইছি। সম্প্রতি সন্দেশখালিতে এই ধরনের হানাহানির ঘটনায় অন্তত তিনজন মারা গিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন তৃণমূল এবং অন্য দু’জন বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করা হয়েছে। আমরা তাঁদের পরিবারের কাছেও যাব শান্তির বার্তা নিয়ে। হতভাগ্য পরিবারগুলির সদস্যদের বলব, রাজনৈতিক দলগুলির পারস্পরিক হানাহানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় তাঁদের মতো সাধারণ মানুষের। একইভাবে মথুরাপুরে নিহত সিপিএম কর্মী রাজু হালদারের বাড়ি গিয়েও তাঁর পরিজনদের সঙ্গে কথা বলব। উল্লেখ্য, আগামী ১৭ এবং ১৮ তারিখ যথাক্রমে মথুরাপুর ও সন্দেশখালির এই কর্মসূচিতে মান্নান-সুজন ছাড়াও দুই পক্ষের আরও কয়েকজন বিধায়ক শামিল হবেন বলে জানানো হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের মধ্যে জোট করতে না পারলেও আগামী ২১ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা বিধানসভার বাদল অধিবেশনে শাসকপক্ষকে চেপে ধরতে বাম ও কংগ্রেস শিবির নিজেদের মধ্যে তালমিল রেখেই চলার সিদ্ধান্ত করেছে। তবে দু’পক্ষের পরিষদীয় নেতৃত্ব ভবিষ্যতে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতার কথা ভেবে জোটভঙ্গের তিক্ততা ভুলে সদনের বাইরেও এই তালমিলের ছবি এখন থেকেই তুলে ধরতে চাইছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা। তাঁদের যুক্তি, সেই কারণেই খাতায়-কলমে ‘রাজনৈতিক শত্রু’ হিসেবে চিহ্নিত বিজেপি বা তৃণমূলের নিহত কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি যাওয়ার মতো এহেন অভিনব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন মান্নান-সুজনরা। তবে এই দুই নেতার বক্তব্য, দিলীপ ঘোষ বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা দুর্ভাগ্যবশত হানাহানিতে নিহতদের নিয়েও ভাগাভাগির রাজনীতি করতে চাইছেন। এটা চরম অসভ্যতা বলে আমরা মনে করছি। আমরা চাইছি, যেভাবেই হোক রাজ্যে শান্তি ফিরুক। এজন্য রাজনৈতিক মতপার্থক্য বা বিরোধিতাকে আপাতত দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছি আমরা। সেই বার্তা দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ।