কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পঞ্চায়েত দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এম ভি রাও প্রত্যেক জেলাশাসক, জেলা প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এবং জিটিএ’র প্রধান সচিবকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনের জন্য একশো দিনের কাজ খুব মার খেয়েছে। এখন ভোট চলে গিয়েছে। এবার জোরকদমে কাজ শুরু করতে হবে। গতানুগতিক কাজ না করে সম্পদ সৃষ্টির উপর জোর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাড়ে তিন পাতার চিঠিতে জেলাশাসকদের প্রথমেই বলেছেন, ‘নো অ্যাসেট নো স্কিম’। অর্থাৎ সম্পদ সৃষ্টি করাই পঞ্চায়েত দপ্তরের প্রধান লক্ষ্য। সম্পদ সৃষ্টি ছাড়া কোনও স্কিম অনুমোদন করা যাবে না। শুধু শতাংশের হিসেবে শ্রমদিবস তৈরি করা যাবে না, সম্পদ সৃষ্টিই লক্ষ্য। উল্লেখ্য, গত কয়েকবছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ একশো দিনের কাজে প্রথম স্থানে রয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক শ্রমদিবস তৈরির যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল, তার থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। টাকা খরচের ক্ষেত্রে অন্য অনেক রাজ্যকে পিছনে ফেলে দিয়েছে এই রাজ্য।
সম্পদ সৃষ্টিতে যে বিষয়গুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল, ১) মজে যাওয়া নদীর পুনরুজ্জীবন করতে হবে। তবে সেই কাজ করার আগে সেচ দপ্তরের অনুমোদন নেওয়া দরকার। ২) কৃষি, বন ও জলসম্পদ দপ্তরের অনুমোদন নিয়েই জল সংরক্ষণের কাজ করতে হবে। পশ্চিমাঞ্চলে এই ধরনের কাজ বেশি করে করতে হবে। যাতে খরার সময় চাষের সময় কোনও অসুবিধা না হয়। ৩) কৃষিপণ্য উৎপাদন বাড়াতে সেচ নালা বা সেচ খাল তৈরি করতে হবে। তবে তা তৈরি করতে হবে পাকা। যাতে একটি বর্ষা গেলে পলি বা নোংরা জমে জল পরিবহণ বন্ধ হয়ে না যায়। ৪) কৃষি উৎপাদনের মতো মৎস্যচাষ ও উদ্যানপালনে জোর দিতে হবে। ফুল চাষে জোর দিতে হবে। এই ধরনের চাষ থেকে আয়ের সুযোগ আরও বাড়বে। ৫) বৃক্ষরোপণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। গাছের চারা যেন ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ১২-১৮ মাসের চারাগাছ যেন লাগানো হয়, তাহলে বৃক্ষরোপণের উদ্দেশ্য পূরণ হবে। তবে কোনও বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে সেই গাছের চারা নেওয়া যাবে না। বনদপ্তরের অনুমতি নিয়েই গাছের চারা লাগাতে হবে এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
এছাড়া জঞ্জাল অপসারণের কাজেও একশো দিনের কাজে যুক্ত শ্রমিকদের লাগানো যাবে। এক্ষেত্রে পঞ্চায়েত দপ্তরের মিশন নির্মল বাংলা কর্মসূচির সঙ্গে যৌথভাবে একশো দিনের কাজে যুক্ত কর্মীরা কাজ করবেন। সকলের জন্য বাড়ি তৈরি করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, সকলের মাথায় ছাদ থাক। তাই বাড়ি তৈরির লক্ষ্যে একশো দিনের কাজে যুক্ত শ্রমিকদের ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওয়েস্ট প্রসেসিং ইউনিটের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে একশো দিনের কাজ দেওয়া হয়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরিতে একশো দিনের কর্মীকে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এইভাবে একশো দিনের কাজ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।