পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত ১০ জুন নবান্নে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ বেড়ে আগামী ডিসেম্বর মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত হয়েছে। কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়ুক, তারপর যতটা সামর্থ্য সেই অনুযায়ী ভাবব। কেউ বঞ্চিত হবে না। মমতা বলেছিলেন, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, সবুজশ্রী, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী সহ অনেক প্রকল্প গরিব মানুষের জন্য চালাতে হচ্ছে। এত কিছু বিনা পয়সায় দেওয়ার পর টাকার জোগাড় করতে হবে তো! এগুলো তো মানুষের ন্যায্য অধিকার। সে সব বাতিল করে তো আর দিতে পারব না। সাধ্যমতো দেব। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি নিজেও একবার অভিরূপদাকে ডেকে কথা বলব। সেই কথার তিনদিনের মাথায় অভিরূপ সরকারকে ডেকে বেতন কমিশনের সুপারিশ কীভাবে কার্যকর করা যাবে, তা নিয়ে আলোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, গত ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর কাজ শুরু করেছিল ষষ্ঠ বেতন কমিশন। বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে গত সাড়ে তিন বছরে পরপর মেয়াদ বেড়েছে এই কমিশনের।
অর্থ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে চতুর্দশ অর্থ কমিশনের কাছে রাজ্যের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য অর্থ দাবি করা হলে, তা খারিজ হয়ে যায়। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কাছে বেতন বৃদ্ধি বাবদ অর্থ দাবি করা না হলেও, রাজস্ব ঘাটতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তারা যেন বেতন বৃদ্ধিজনিত চাপের বিষয়টি মাথায় রাখে, তার অনুরোধ করা হয়েছিল নবান্নের তরফে। গত বছরের জুলাই মাসে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদলের কাছে যে দাবিপত্র পেশ করেছিল নবান্ন, তাতে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করতে হলে বাড়তি কত খরচ হবে কোষাগার থেকে, তার হিসেব দিয়েছিল রাজ্য। রাজ্য জানিয়েছিল, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৪-২৫ আর্থিক বছর পর্যন্ত বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করতে হলে বাড়তি ৮৫,৪৫৭ কোটি টাকা খরচ করতে হবে।