কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
যে আটটি পুরসভার জন্য ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যালের নির্দেশ রয়েছে, সেই পুরসভাগুলি হল, বিধাননগর, আসানসোল, দুর্গাপুর, বৈদ্যবাটি, রিষড়া, উত্তরপাড়া-কোতরং, হলদিয়া ও কল্যাণী। এর মধ্যে বিধাননগর, আসানসোল ও দুর্গাপুর পুরনিগম, অর্থাৎ তিনটি বড় শহরের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠকে বিধাননগর পুরনিগম ছাড়াও সব বাকি দুই পুরনিগমের মেয়ররা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাকি পাঁচ পুরসভার চেয়ারম্যানরা। বিধাননগরের কমিশনার পৃথা সরকার এবং যুগ্ম কমিশনার সুরজিৎ বসু উপস্থিত ছিলেন। পুরসচিব সুব্রত গুপ্ত ছাড়াও কেএমডিএ’র চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অন্তরা আচার্য, নগরোন্নয়ন দপ্তরের যুগ্মসচিব শান্তনু মুখোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সেই বৈঠকে কোন পুরসভা বর্জ্য অপসারণে কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে, তার রিপোর্ট তুলে ধরা হয়। পুরসচিব বলেন, প্রতিটি বাড়ি থেকে জঞ্জাল সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিটি বাড়িতে দুটি করে বিন দেওয়া হবে। সেখানে পচনশীল আর পচনশীল নয়- এমন জঞ্জাল আলাদা করে রাখতে হবে। উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভায় জঞ্জাল আলাদা করার কাজ ১০০ শতাংশ হয়েছে। বাকি পুরসভায় তা ঠিকভাবে হচ্ছে না। তাই সেই কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন পুরসচিব। সেই সঙ্গে জঞ্জাল থেকে শক্তি উৎপাদনের জন্য উদ্যোগী হয়েছে পুর দপ্তর। সেই পরিকল্পনার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে আটটি পুরসভার কর্তাদের আশ্বস্ত করে পুরসচিব বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সব রকম সাহায্য করা হবে। ১৫ দিন অন্তর রিভিউ করা হবে। তিন মাস অন্তর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পুরসভাগুলির রিভিউ মিটিং করবেন। জঞ্জাল অপসারণ করতেই হবে। পুরসচিব পরে বলেন, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল ওই আটটি পুরসভায় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুল ২০১৬ চালু করতে বলেছে। সেই আইন চালু করার জন্য কতগুলি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেকারণে এদিন ওই আটটি পুরসভার শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কল্যাণী পুরসভায় বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার। তার জন্য নানা ধরনের প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মানুষকেও জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে সচেতন হতে হবে। নির্দিষ্ট জায়গায় জঞ্জাল ফেলার জন্য আবেদন করতে হবে। পচনশীল ও পচনশীল নয়, এমন জঞ্জালকে আলাদা করতে হবে। জঞ্জাল থেকে শক্তি উৎপাদনের পরিকল্পনাও করা হয়েছে। প্রতিটি পুরসভার জন্য এই কাজে ‘মাইক্রো প্ল্যান’ করতে বিশেষজ্ঞ সংস্থা নিয়োগ করা হচ্ছে।