পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বর্তমানে একাধিক কেবল সংস্থায় বন্ধ স্টারের সবক’টি চ্যানেল। গত মাসে আরও একটি সংস্থায় পরপর তিন দিন ওই চ্যানেলগুলির বন্ধ থাকার অভিযোগ ছিল। যদিও তারা সেই সমস্যা মিটিয়ে নিয়েছে। সোনি’র সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে, এমন অভিযোগও বর্তমানে রয়েছে একাধিক কেবল সংস্থার বিরুদ্ধে। এমনকী ‘আই কাস্ট’-এর আওতায় থাকা কালার্স-এর সম্প্রচারও বন্ধ রয়েছে, এমন অভিযোগ করছেন দর্শকের একাংশ। এর ফলে ক্রিকেট বিশ্বকাপ দেখতে না পেয়ে যেমন বহু মানুষ ক্ষুদ্ধ, তেমনই আচমকা পছন্দের সিরিয়াল বন্ধ হয়ে যাওয়াতেও ক্ষোভের অন্ত নেই। সন্ধ্যাবেলার পছন্দের বিনোদন খুইয়ে পানসে হয়ে গিয়েছে বাঙালির ড্রইংরুম। এ নিয়ে অবশ্য রা কাড়ছেন না কেবল সংস্থার কর্তারা। এদিকে দর্শকের তরফে চাপ আসায় ফাঁপরে পড়ছেন কেবল অপারেটররা।
অপারেটরদের কথায়, একটা সময় ছিল, যখন লক্ষ লক্ষ টাকা বকেয়া রেখেই ব্যবসা চলত কেবল শিল্পে। এমএসও এবং চ্যানেল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সেই ধার-বাকির কারবার থাকত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আলাদা। নগদে ব্যবসার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। এমএসও’র তরফে টাকা বাকি পড়লেই সম্প্রচার বন্ধ করে দিচ্ছে তারা, অভিযোগ এমনটাই। এমনকী পুরনো বকেয়া না মেটালেও সম্প্রচার বন্ধ করে দিচ্ছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। এদিকে সেই সমস্যার খেসারত গুনতে হচ্ছে অপারেটরদের, বলছেন তাঁরা। কেবল অপারেটর্স সংগ্রাম কমিটি’র সম্পাদক অপূর্ব ভট্টাচার্য বলেন, এ এক অদ্ভুত পরিস্থিতি। কেবল সংস্থা এবং চ্যানেল কর্তৃপক্ষের মধ্যে টাকাপয়সা নিয়ে কী চুক্তি ও চুক্তিভঙ্গ হল, তা তাদের নিজস্ব ব্যবসায়িক ব্যাপার। তার জন্য দর্শক কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন? অথচ সেটাই হয়ে চলেছে। কোথাও না কোথাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চ্যানেল সম্প্রচার। যেখানে দর্শক আগে থেকে টাকা দিয়ে রেখেছেন তাঁর প্যাকেজের জন্য, সেখানে চ্যানেল না এলে, তার দায় নেওয়া উচিত কেবল সংস্থার। বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু তা তারা যেমন নিচ্ছে না, তেমনই দর্শক আমাদের কাঠগড়ায় তুলছেন। অথচ আমরা নিরুপায়। অপরাধ না করেও আমরা অপরাধী। বিশ্ববাংলা কেবল টিভি অপারেটর্স ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট শঙ্কর মণ্ডলের কথায়, আমরা বারবার ট্রাই’কে বলেছি বিষয়টি দেখার জন্য। কিন্তু অরাজকতা চলছেই। এদিকে দর্শকের চোখরাঙানি সহ্য করতে হচ্ছে আমাদের। বিষয়টি নিয়ে আমরা রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকেও বারবার বলেছি। কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা। এদিকে আমাদের পিঠ ঠেকে গিয়েছে দেওয়ালে। দর্শক আমাদের পয়সা দেন। তাই জবাবদিহি আমাদেরই করতে হয়। এমন চললে আমাদের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় নেই।