পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এহেন বৈঠকের আয়োজন নজিরবিহীন হলেও, রাজ্যপালের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। সূত্রের খবর, গত রবিবার থেকেই এহেন একটি বৈঠক ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল রাজভবনের তরফে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে টেলিফোনে কথাবার্তা এবং চিঠি আদানপ্রদানও হয়েছে। নবান্নের শীর্ষস্তরের সবুজ সঙ্কেত মেলার পরই রাজ্যপাল নিজে বুধবার চিঠি দিয়ে ওই চার রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বৈঠকে কারা আসবেন, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের চিঠিতে। বৈঠকে ডাকা হয়েছে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রকে। রাজভবনের বৈঠকে তিনি নিজেই যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব। তাঁর কথায়, আমরা অশান্তি চাই না, অশান্তি করি না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দিতে আজ, বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি উড়ে যাবেন। তিনি বলেন, রাজ্যপালের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। দলের তরফে জয়প্রকাশ মজুমদার বৈঠকে যাবেন। একইভাবে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় বৈঠকে থাকছেন না সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। তাঁর পরিবর্তে বৈঠকে যোগ দেবেন দলের পলিব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বৈঠকে যোগ দেবেন। তবে সঙ্গে দু’জন সাধারণ সম্পাদক সর্দার আমজাদ আলি এবং প্রশান্ত দত্তকে বৈঠকে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। তবে রাত পর্যন্ত রাজভবনের তরফে কোনও সম্মতি মিলেছে কি না, জানা যায়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দু’দিন আগে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেছিলেন রাজ্যপাল। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের তিনি জানিয়েছিলেন, যা জানানোর তা জানিয়ে এসেছেন। তবে আলাদাভাবে একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষ্যাৎকারে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার সম্ভাবনাকে জিইয়ে রেখে দেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার মধ্যেই মঙ্গলবার শহরের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এই প্রসঙ্গে নিজের উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতির সেই জটিল আবর্তের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজ্যপালের ডাকা বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট সব মহল।