কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী যে বাজেট পেশ করেন, তাতেই চুক্তিতে নিযুক্ত গ্রুপ ডি কর্মীদের গ্রুপ সি পদে উন্নীত করার ঘোষণা করা হয়েছিল। অন্তত তিন বছর কাজ করলে এবং মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হলে তবেই এই সুযোগ পাওয়া যাবে বলে তখনই ঘোষণা করে দেওয়া হয়। বাজেট ঘোষণা হওয়ার দিন চারেক পর এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে অর্থ দপ্তর। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু এবার হতে চলেছে। দপ্তরগুলিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এমন যোগ্যতাসম্পন্ন গ্রুপ ডি কর্মীদের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে।
বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এই ব্যবস্থায় প্রায় ৫০ হাজার চুক্তিতে নিযুক্ত গ্রুপ ডি কর্মী উপকৃত হবেন। তবে সরকারি নির্দেশিকায় পরে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, অর্থ দপ্তরের নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিযুক্ত গ্রুপ ডি কর্মীরা এই সুযোগ পাবেন। ২০১১ ও ২০১৬ সালে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যাঁদের চাকরি হয়েছে, তাঁরা এই পদোন্নতির সুযোগ পাবেন।
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার কয়েক মাসের মধ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে চুক্তিতে কয়েক হাজার গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার ওই সিদ্ধান্তু অনুযায়ী বিভিন্ন দপ্তর দফায় দফায় চুক্তিবদ্ধ গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ করে। গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে ২০১৬ সালে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। বামফ্রন্ট সরকারের সময় বিভিন্ন দপ্তরে চুক্তিবদ্ধ গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়ে ও নিয়মকানুন মেনে যাঁদের নিয়োগ হয়েছিল, তাঁরাও এখন তৃণমূল সরকারের সময়ে চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের মতো বেতন ও অন্যান্য সুযোগ পেয়ে থাকেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ না হওয়া কর্মীরা এখনও বিভিন্ন দপ্তরে অনেক কম বেতনে কাজ করে যাচ্ছেন। এই ধরনের কর্মীরা গ্রুপ সি পদে পদোন্নতির সুযোগ পাবেন না।
নিয়মকানুন মেনে চুক্তিতে নিযুক্ত গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন ২০১১ সালে প্রায় সাত হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছিল। পরবর্তী কালে তাঁদের বেতন বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এবারের বাজেটে চুক্তিতে নিযুক্ত গ্রুপ ডি এবং সি কর্মীদের বেতন দুই হাজার টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। চুক্তিতে নিযুক্ত গ্রুপ ডি কর্মীদের ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরির নিশ্চয়তা ২০১১ সালের বিজ্ঞপ্তিতে জারি করা হয়েছিল।
সরকারি অফিসে চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীরা মূলত গ্রুপ ডি পদে কাজ করেন। নতুন নিযুক্ত কর্মীদের বড় অংশ স্নাতক। এই কর্মীরা অফিসে কম্পিউটারের নানা কাজও করেন। গ্রুপ সি পদে চুক্তিতে নতুন নিয়োগ হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ সি কর্মীদের চুক্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ গ্রুপ সি কর্মী এখন প্রায় ১৬ হাজার টাকা বেতন পান।
সরকারি অফিসে গ্রুপ সি কর্মীদের বড় অংশ লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট (এলডিএ)। এলডিএ সহ গ্রুপ সি-র বহু শূন্য পদ রয়েছে। চুক্তিবদ্ধ গ্রুপ ডি থেকে ওই শূন্য পদ পূরণ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এতে অবশ্য পিএসসি-র পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চুক্তিবদ্ধ গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগ করলে রাজ্য সরকারকে ডিএ খরচ বহন করতে হবে না। কারণ চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের থোক বেতন দেওয়া হয়। তাতে কোনও ডিএ থাকে না।