পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এ ব্যাপারে রাজর্ষিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্কুলে ইংরেজি মাধ্যম চালু হয়েছে। এই অবস্থায় ইংরেজির শিক্ষক শঙ্কর দত্তকে সরিয়ে দেওয়া হলে স্কুল বিপাকে পড়বে। ছাত্ররাও বঞ্চিত হবে। আমরা যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন করব, সে ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক রেয়াজ আহমেদের সঙ্গেও কথা বলেছি। রাজর্ষির বাবা বিষ্ণুপদ বর্মনও ওই স্কুলে গণিতের শিক্ষক। তিনি বলেন, ইংরেজির অনুমোদিত শিক্ষক পদ রয়েছে পাঁচটি। কিন্তু শিক্ষক রয়েছেন তিনজন। তার মধ্যে থেকে শঙ্করবাবুকে সরিয়ে নেওয়া হলে অনেকটাই সমস্যায় পড়বে স্কুল। আমাদের ১২০০-র বেশি ছাত্র রয়েছে। আমরা চাইছি, তাঁকে বদলি করতেই যদি হয়, তাহলে বিকল্প শিক্ষক দেওয়া হোক। আশা করি, মুখ্যমন্ত্রী এই আবেদনে সাড়া দেবেন। প্রসঙ্গত, শঙ্করবাবুকে পুরুলিয়া জেলা স্কুলে বদলি করা হয়েছে। শঙ্করবাবু এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি এই স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র এবং কোচবিহারের বাসিন্দা। আমি এই স্কুলে ২৯ বছর ধরে রয়েছি। বাকি সাতটি বছর এই স্কুলেরই সেবা করে যেতে চাই। আমার মেয়েও এখানকার সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। আমি গেলে আমার সমস্যা তো হবেই। স্কুলও বিপাকে পড়বে। কারণ, কোচবিহারের মতো প্রত্যন্ত জেলায় সহজে কেউ আসতে চান না। প্রসঙ্গত, রাজর্ষি ছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের দ্বিতীয় স্থানাধিকারী অনাতপ মিত্র, চতুর্থ ঐতিহ্য সাহা, সপ্তম রূপম দে এবং দশম সুযশ পালও এই আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর দাবি, শাসকদলের চাপে অবৈধভাবে ছাত্র ভর্তিতে সম্মত না হওয়ায় শঙ্করবাবুকে বদলি করে চাপ দিতে চাইছে একটা অংশ। আমাদের আশা, মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রদের এই আবেদনে সাড়া দেবেন। প্রসঙ্গত, শঙ্করবাবুকে বদলি করা যাবে না, এই দাবি নিয়ে ওঠা আন্দোলনে জেনকিন্স স্কুলে দু’দিন ধরে পঠনপাঠন বন্ধ ছিল। বুধবারই স্কুল খুলেছে। পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে কিছুটা স্বাভাবিক।