বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পঞ্চায়েত স্তরে পরিষেবা পেতে শাসকদলের এক শ্রেণীর মাতব্বরকে কোথাও কাটমানি, আবার কোথাও কমিশন দিতে হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের, এহেন অভিযোগ বিস্তর জমা পড়ছিল নবান্নে। বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়েও বারবার এই বিষয়টি উত্থাপন করে দলের সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করেছিলেন মমতা নিজেও। এসসি, এসটি’র শংসাপত্র, কন্যাশ্রী আর রূপশ্রীর অনুদান, সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, আবাস যোজনা, দু’টাকা কিলো দরে চাল, বিধবা ভাতা, এমনকী শেষকৃত্য সমব্যথী প্রকল্পের সুবিধা পেতেও কমিশন চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছিল। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তৃণমূল ভবনের বৈঠকেও কাটমানি এবং কমিশন নেওয়ার কারবার বন্ধে আরও কড়া হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলাফল বিশ্লেষণের পর তৃণমূল শিবির মনে করছে, কাটমানি এবং কমিশন খাওয়ার এহেন কারবার লোকসভা নির্বাচনে জোড়াফুলের ভোটবাক্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এবার তাই এমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যেখানে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে।
এদিন মমতা বলেন, অভিযোগ আসছে বেশ কিছু জায়গা থেকে। কোথাও কন্যাশ্রীর বরাদ্দ ছাড়া হচ্ছে না, কোথাও আবার খাদ্যসাথী মিলছে না। কেউ আবার সরকারি পুরো বরাদ্দ পাচ্ছেন না। এক শ্রেণীর লোকজন এসব করছে। এসব কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বিধবা ভাতা মিলছে না বলে অভিযোগ এসেছে, এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারা আটকেছে, তা দেখা হচ্ছে। নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এরই পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে গ্রিভ্যান্স সেল। সরাসরি সেখানে পরিষেবা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও জেলাস্তরে ডিএম-এসপি’দের বলা হয়েছে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডিএসপি পদমর্যাদার একজন করে অফিসারকে এই প্রকল্পের নোডাল অফিসার হিসেবে রাখতে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিযোগ জানানোর টোল ফ্রি নম্বরটি হল ১৮০০৩৪৫৮২৪৪ এবং এসএমএস করা যাবে ৯০৭৩৩০০৫২৪ নম্বরে। ই-মেলে অভিযোগ জানানোর আইডি হল, wbcmro@gmail.com। মমতা বলেন, অভিযোগ জমা পড়ার পর তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।