কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ইডি’র সহকারী অধিকর্তা তাঁর এক পাতার চিঠিতে লিখেছেন, মেট্রো ডেয়ারি বিলগ্নিকরণের আগে সংস্থার যৌথ উদ্যোগের চুক্তিপত্র এবং তাতে সরকারি সংস্থা মিল্ক ফেডারেশনের হাতে থাকা শেয়ারের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ চাওয়া হয়েছে। শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত অরিজিনাল সরকারি ফাইল চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মিল্ক ফেডারেশনের যে বোর্ড মিটিংয়ে সরকারের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার কার্যবিধি এবং এজেন্ডা পয়েন্ট চাওয়া হয়েছে। সেই সভাতেই শেয়ারের ন্যূনতম দাম ধার্য হয়েছিল। তার বিস্তারিত নথি চাওয়া হয়েছে ইডি’র তরফে। তাছাড়াও শেয়ারের দাম নির্ধারণ নিলাম কিংবা ই-টেন্ডারের বিবরণ তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে যে সংস্থাকে শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে তাদের তরফে রাজ্য সরকারকে কীভাবে দাম মেটানো হয়েছে, তার নথিও চেয়েছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। সবশেষে মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত এই গোটা প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রত্যেক সরকারি অফিসারের যাবতীয় বিবরণও চেয়েছে ইডি।
এ প্রসঙ্গে বহরমপুরের কংগ্রেস এমপি অধীর চৌধুরী বলেন, এটা একটা বড়সড় দুর্নীতি। যার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জড়িত। কারণ, সরকারি সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এই দুর্নীতিতে রাজ্যের একাধিক আমলা জড়িত বলেও দাবি প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। মেট্রো ডেয়ারির বিলগ্নিকরণে বিরাট অনিয়ম হয়েছে এই অভিযোগ তুলে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও করেছেন। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করায় যারপরনাই খুশি অধীরবাবু। তাঁর আইনজীবী প্রতীপকুমার চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, পুরনো শেয়ার কাঠামো অনুসারে মেট্রো ডেয়ারির ৪৭ শতাংশ অংশীদারিত্ব ছিল রাজ্য সরকারের। ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (এনডিডিবি) শেয়ার ছিল ১০ শতাংশ। বাকি ৪৩ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা ছিল একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে। কয়েকবছর আগে এনডিডিবি’র গোটা শেয়ার কিনে নেয় সংশ্লিষ্ট ওই বেসরকারি সংস্থা। ২০১৮ সালে রাজ্য সরকারের হাতে থাকা ৪৭ শতাংশ শেয়ারও মাত্র ৮৫ কোটি ৫ লক্ষ টাকায় কিনে নেয় সংস্থাটি। প্রতীপবাবুর কথায়, সম্প্রতি ওই ৪৭ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশ শেয়ার ১৭০ কোটি টাকায় সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থাকে বিক্রি করে দেয়। সেই হারে সঠিক পদ্ধতিতে এই বিলগ্নিকরণ করলে ৪৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে সরকারের ঘরে ৫৩৩ কোটি টাকা আসত। যা মাত্র ৮৫ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তো আদালত, সিবিআই, সংবিধান কিছুই মানেন না। প্রত্যাশিতভাবে ইডি’র চাওয়া তথ্যও দেওয়া হচ্ছে না। উনি ভাবছেন গায়ের জোরে সব করা যাবে। মেট্রো ডেয়ারি শেয়ার বিক্রির পদ্ধতিতে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে বলেও তোপ দাগেন দিলীপবাবু।