বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যের ১২৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু মানুষের সংখ্যা তুলনায় বেশি। সেই সব এলাকাতেও বিজেপি প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। এমনই ২৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে এবার এগিয়ে গিয়েছে তারা। আর কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে এমন ন’টি বিধানসভা আসনে। তবে ৩৪ বছর শাসন করলেও সিপিএম এবার একটি বিধানসভা আসনেও এগিয়ে নেই, উল্টে বেশ কয়েকটি আসনে জমানত গিয়েছে সিপিএম তথা বামফ্রন্টের প্রার্থীদের। পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, বামফ্রন্টের জেতা ১১টি বিধানসভা আসনে এবার বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে। আর তৃণমূল এগিয়েছে বামফ্রন্টের জেতা ১৭টি আসনে। আবার কংগ্রেসের জেতা ১৫টি আসনে বিজেপি এক নম্বরে উঠে এসেছে। আর তৃণমূল এগিয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের জেতা ১৭টি বিধানসভা আসনে।
ভোটের ফলাফল খতিয়ে দেখা গিয়েছে, তৃণমূল-বিজেপির দ্বৈরথে এক থেকে তিন হাজার ভোটের ফারাক রয়েছে বেশ কয়েকটি বিধানসভা আসনে। তার মধ্যে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবানীপুর, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের খড়দহ, তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের নৈহাটি, সুনীল সিংয়ের নোয়াপাড়া, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের চাঁপদানি, ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মানিকতলা, বৈশালী ডালমিয়ার বালি, সুকুমার হাঁসদার ঝাড়গ্রাম, রবীন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাটোয়া সহ বেশ কিছু বিধানসভা। আরামবাগ, ঝাড়গ্রাম, বারাকপুর সহ কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রে বিজয়ী প্রার্থী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর জয়ের ব্যবধানও বেশ কম।
৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২২টি আসন দখলে রেখেছে তৃণমূল। ২০১৬ সালের ভোটের হিসেবে দুই শতাংশ ভোট কমেছে তৃণমূলের। তবে অল্বাভাবিক মাত্রায় ভোট বাড়িয়েছে বিজেপি। ১৭ শতাংশ থেকে তাদের ভোট বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ। ফলে লোকসভার আসন দুটি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮টি। তৃণমূল নেতারা মনে করেন, সিপিএমের প্রায় ২০ শতাংশ ভোট চলে গিয়েছে পদ্মে। কংগ্রেসের ভোটও প্রায় পাঁচ শতাংশ কমে গিয়েছে। সেই সব ভোট বিজেপি’র বাক্সে যাওয়ায় অভাবনীয় ফল করেছে তারা। বিধানসভার নিরিখে দেখা গিয়েছে, বিজেপি ১২১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে ১৬৪টি আসনে। আর কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ন’টি আসনে। বামফ্রন্ট অধিকাংশ বিধানসভা আসনেই তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ভোট মিটে যাওয়ার পর কোন বিধানসভা কেন্দ্রে কী অবস্থা, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। যার উপর ভিত্তি করেই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু হবে।