পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবার দুপুরের পর থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রগর্ভ মেঘ জমা হয়। শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাতেও ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় শহরে কালবৈশাখীর ঝড় হয়েছে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৭ কিলোমিটার। এটা এক মিনিট স্থায়ী ছিল। ঝড়ের জন্য পূর্ব রেলের হাওড়া-বর্ধমান মেইন লাইন, শিয়ালদহ মেইন ও শিয়ালদহ সাউথ ও খানা-বোলপুর সেকশনে ট্রেন চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়। রেলের ওভারহেড তারের উপর গাছ ভেঙে পড়া এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ট্রিপ করার জন্য সমস্যা হয়। তবে ঝড়-বৃষ্টিতে গরম কমে কিছুটা স্বস্তি মেলে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিকে একটি ঘূর্ণাবর্ত থাকার জন্য ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার অনকূল পরিস্থিতি এখন আছে। দক্ষিণ অসমের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত থাকায় হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির অনকূল পরিস্থিতি আছে। তবে মাঝে মাঝে কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা অস্বস্তিকর গরম গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বড় অংশে থাকবে। বৃষ্টি হলে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যাবে মাত্র।
বেশ কয়েকদিন আগে দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একটা অংশ পর্যন্ত মৌসুমি বায়ু চলে এসেছিল। তারপর এটি সেখানেই থমকে ছিল। শনিবার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর, উত্তর আন্দামান সাগর, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বাকি অংশ এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ অংশ বর্ষার আওতায় চলে এসেছে। আগামী ২৯-৩০ মে-র মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ও উত্তর আন্দামান সাগরের আরও কিছু অংশে বর্ষা ঢুকে পড়বে।