কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অন্যদিকে, বিজেপির দাবি, মৃত যুবক তাদের দলের কর্মী। যদিও পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, সন্তু কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। বিজেপি নেতৃত্ব অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে শুক্রবার রাতে চাকদহ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। পাশাপাশি শনিবার সকাল থেকে চাকদহ, শিমুরালি স্টেশনে রেল অবরোধ করা হয়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের চৌমাথা মোড় অবরোধ করা হয়। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে নটা পর্যন্ত রেল অবরোধ চলে। তার জেরে আপ হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস কল্যাণী স্টেশনের কাছে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে। এছাড়া আপ এবং ডাউনে একাধিক লোকাল ট্রেন আটকে পড়ে। এই গরমে ট্রেনে আটকে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী তীব্র নাকাল হন। একইভাবে জাতীয় সড়কে যানজট তৈরি হয়।
পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তুর বাড়িতে বাবা, মা ছাড়াও দুই দিদি রয়েছে। দিদিদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাবা সাধু ঘোষ মিষ্টির দোকানের কর্মী। সন্তু বড়বাজারে একটি সোনার দোকানের কর্মী। তাঁর জামাইবাবু সুশান্ত কর্মকার সাত বছর আগে তাঁকে এই কাজের ব্যবস্থা করে দেন। তিনি এই কাজ করে কিস্তিতে একটি বাইকও কিনেছিলেন। সাধারণত সকাল আটটা নাগাদ তিনি কাজে বেরিয়ে যেতেন। আর রাত বারোটা নাগাদ কাজ থেকে তিনি ফিরতেন। শুক্রবার রাত ৯ টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফেরেন। তার আগে বাইক করে তিনজন এসে বাড়িতে তাঁর খোঁজ করে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তখনও তিনি বাড়ি আসেননি। পরে, বাড়ি ফিরলে তাঁর মোবাইলে ফোন আসে। ফোন পেয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরই এলাকার লোকজন গুলির শব্দ শুনতে পান।
ছুটে গিয়ে দেখেন, পাড়ার পাশে একটি চাষজমি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছুটে আসছেন সন্তু। কিছুটা আসার পর ঢালাই রাস্তার উপর তিনি লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মা সাগরী ঘোষ বলেন, ছেলে আসার পর আমাদের বাড়ির দিকে কেউ বা কারা নজর রাখছিল। তারপরই ওর মোবাইলে ফোন আসে। ও বেরিয়ে যায়। দিদি মণি কর্মকার বলেন, আমার ভাই কোনও দল করত না। ও নিজের কাজ নিয়ে থাকত। ওকে কেন খুন করা হল। আমি দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
বিজেপির চাকদহ শহরের সভাপতি প্রবীর হালদার বলেন, ওই যুবক এবার লোকসভায় আমাদের দলের হয়ে কাজ করেছেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। আমরা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও, অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলাম। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। অন্যদিকে, চাকদহ শহর তৃণমূলের সভাপতি দীপক চক্রবর্তী বলেন, মৃত যুবক গত বিধানসভা এবং লোকসভায় বুথ স্তরে আমাদের দলের হয়ে কাজ করেছেন। মিটিং, মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন। দলের কর্মীর উপর কেউ হামলা চালায়? আমরা পুলিস প্রশাসনকে বলেছি, এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করা হোক। এটা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা চলছে।