বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বিহারে দীর্ঘদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ছিলেন অজয় নায়েক। এ রাজ্যের সিইও দপ্তর নিয়ে বিজেপি দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর জন্য তাঁকে রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তিনি নিয়মিত সিইও অফিসে বসে ভোট পরিচালনার উপর পর্যবেক্ষণ করেন। এখানে প্রথমে আসার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেন, বিহারের থেকে খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের। ১০-১৫ বছর আগে বিহারে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগত। এখন আর অবশ্য তা লাগে না। রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। ভোটে গোলমাল হয় না। কিন্তু বাংলা দেখছি সেই ১০-১৫ বছর আগের বিহার!
তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে অজয় নায়েককে প্রত্যাহার করার দাবি জানান। কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন সেই দাবিতে আমল দেয়নি। তবে অজয় নায়েক আর সাংবাদিক বৈঠক করেননি। আজ, শনিবার সকালে তিনি ও বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে কলকাতা থেকে চলে যাবেন। যাওয়ার আগে রাজ্যের ভোটের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে নায়েক বলেন, বাংলায় ভোট করা বিহারের চেয়েও টাফ। এখানে বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তাঁরা যেন আতঙ্কে থাকেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসাররা ডিউটিতে যেতে চান না। সে কারণেই ১০০ শতাংশ বাহিনী লাগে। ৭১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কাশ্মীর ছাড়া আর কোথায় লেগেছে? কোনও রাজ্যে এত কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগে না।
৪২টি আসনের মধ্যে কোন আসন টাফ বলে মনে হয়েছে, সেই প্রশ্নে তিনি জানান, অবশ্যই বারাকপুর। তাছাড়া ভাটপাড়া উপনির্বাচন। সেখান থেকে বহু গোলমালের খবর এসেছে। তবে আমরা উপনির্বাচনের পর্যবেক্ষক ছিলাম না। যেখানেই গোলমালের খবর পেয়েছি, সেখানেই ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
স্বরাষ্ট্রসচিবকে অপসারণের ঘটনা এবারই প্রথম, এটা তো আপনাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে হয়েছে? নায়েক পাল্টা প্রশ্ন করেন, আপনার কি মনে হয় ঠিক হয়নি? তিনি যে আর রাজ্যে ভোট পরিচালনায় আসতে চান না, তাও জানিয়ে দেন। এরপর তিনি রওনা দেন বেলুড়ের উদ্দেশে। মোটের উপর শান্তিতে ভোট সম্পন্ন হয়েছে বলে সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানিয়েছেন বিবেক দুবে।