পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে, এভারেস্ট অভিযানে যাওয়া তিন ভারতীয় পর্বতারোহীর শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে। নেপাল প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রায় ১৩০ জন পর্বতারোহী এভারেস্ট শৃঙ্গ ছোঁয়ার অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওইরকম উচ্চতার আবহাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে বহু পর্বতারোহী শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। বিশেষ করে শরীরে জলের অভাবের কারণে তাঁদের ডিহাইড্রেশন হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ক্লান্তি পর্বতারোহীদের আরও দুর্বল করে দিয়েছিল। এর জেরে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরকম অবস্থায় এজেন্সির পক্ষ থেকে নেপাল প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, পুণের পর্বতারোহী নিহাল আসপাক বাগওয়ান (২৭) এবং মুম্বইয়ের অঞ্জলি কুলকার্নি ৮৫০০ মিটার উচ্চতা থেকে ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে মারা যান। প্রায় ৮৮৫০ মিটার উচ্চতায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দেহ নামিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।
পিক প্রোমোশনের অন্যতম কর্তা কেশব পোড়েল জানিয়েছেন, নিহাল বাগওয়ানের শরীরে জলের অভাব হয়েছিল। এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়ের পথে তাঁকেও দীর্ঘক্ষণ মানব জটে পড়তে হয়। এই দীর্ঘ সময় আটকে থাকার ফলে ক্লান্তি এবং ডিহাইড্রেশনের কবলে পড়েছিলেন নিহাল। অন্যদিকে, অঞ্জলি কুলকার্নির এজেন্সির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্যাম্প-৪ থেকে নামার সময় শারীরিকভাবে খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নেপাল পর্যটন মন্ত্রকের মুখপাত্র মীরা আচার্য এই দুই ভারতীয় পর্বতারোহীর মৃত্যুর খবরকে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এজেন্সির পক্ষ থেকে তাঁদের এই মর্মে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওড়িশার বাসিন্দা কল্পনা দাস বলে আরও এক ভারতীয় পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এজেন্সির থেকে তাঁরা খোঁজখবর নিচ্ছেন। অন্যদিকে, আরেক বাঙালি পর্বতারোহী পিয়ালি বসাকও কিছুটা ক্লান্তির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাই তিনি ইতিমধ্যে অভিযান সমাপ্ত না করেই, মাঝপথে ফিরে আসেন। ক্যাম্প¬-২ থেকে এদিন তাঁকে হেলিকপ্টারে করে কাঠমান্ডুতে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।