বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এরপর তিনি বলেন, আমি বাবার জন্য গর্ববোধ করি। অনেকে বলেছিল, লক্ষ লক্ষ মুকুল রায় তৈরি করব। যে মুকুল রায় নিজে হাতে দলটাকে তৈরি করেছিল। সেই দলটাকে ভেঙে তছনছ করে দিল। কাঁচরাপাড়ার কাঁচা ছেলের কাঁচা মাথায় চাণক্যের বুদ্ধি দিয়ে গোটা বাংলা চষে বেড়ালো। তিনি বলেন, আমি তৃণমূল দল করতে চাই। কিন্তু, জানি না, দল আমাকে বর্জন করেছে কি না। আমি নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছি। সেটা চুপচাপ বসে যাওয়া হতে পারে, কিংবা অন্য দলে যোগ দেওয়া হতে পারে। তবে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এদিন স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
বারাকপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদি বীজপুর বিধানসভায় এবার ভালো লিড পাবেন বলে আশা করেছিলেন। এমনকী নির্বাচনের দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে মুকুলপুত্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বলেছিলেন, শুভ্রাংশু অনেক পরিশ্রম করেছে। ওখানে আমাদের ফল এবার ভালো হবে। কিন্তু, ভোটের ফল একেবারে উল্টো হয়েছে। ফল বের হওয়ার পর এদিন দুপুরে শুভ্রাংশু সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, নির্বাচনের আগে বীজপুর বিধানসভা থেকে সব থেকে বেশি ভোটে লিড দেওয়ার কথা আমি ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু, আমি সেই কথা রাখতে পারিনি। এখানে তৃণমূল লিড পায়নি। বিজেপি এখানে লিড পেয়েছে।
তিনি বলেন, আমি অসুস্থ শরীর নিয়ে ৪৭টি ওয়ার্ড ঘুরে বেরিয়েছি। কিন্তু, আমি ভুলে গিয়েছিলাম, কাঁচরাপাড়ায় আমার মতো বাবাও ভূমিপুত্র। তাই মানুষ বাবাকে সমর্থন করেছে। বাবার কাছে আমি হেরে গিয়েছি। তবে, এটাও ঠিক, কাঁচরাপাড়ার কাঁচা ছেলে বলে কটাক্ষ, রায় পরিবারকে আক্রমণ মানুষ ভালোভাবে নেননি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, বাবার দলে কি যোগ দেবেন? তিনি বলেন, বাবার সঙ্গে নিশ্চই কথা বলব। একটি মতামত নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আসলে আমি কী তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়ে যাচ্ছে। আমি দলকে একশ শতাংশ দেওয়ার পরও আমাকে গদ্দারের ছেলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। আমি এখনও তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছি। তারা ভাবছে কি না জানি না। আমি কারও সম্পর্কে কিছু বলব না। কারও প্রতি রাগ নেই। তবে, মনে দুঃখ আছে, অভিমান আছে।
তিনি বলেন, ছেলে হিসাবে বাবার সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবারও বাবা এসেছিলেন। বাবার অনুগামীদের ভিড়ে বাবার সঙ্গে কথা হয়নি। সুযোগ পেলে অর্জুনদাকে শুভেচ্ছা জানাব। তবে, সমগ্র এলাকায় যাতে শান্তি বজায় থাকে তা দেখার জন্যও বলব।