কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন দুপুরে দলের রাজ্য দপ্তরে হাজির হন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই ফুল-মিষ্টি-মালা-ঢাক-ঢোল সবই তৈরি ছিল। রাজ্য সভাপতির সঙ্গেই রাজ্য পার্টি অফিসে পা রাখেন বারাকপুর এবং রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত অর্জুন সিং এবং দেবশ্রী চৌধুরী। সদ্য জয়ী তিন প্রার্থীকে পেয়ে রীতিমতো আবেগে ভেসে যান কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপবাবু বলেন, বাংলা পরিবর্তন চাইছিল। লোকসভা ভোটে তার সূচনা হয়ে গেল। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ভালো ফল করেছে। এই অবিশ্বাস্য জয়কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দিলীপবাবু বলেন, সাধারণ মানুষ নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের ভোট দিয়েছে। শত বাধা, প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিজেপির প্রতি মানুষের এই সমর্থনকে কুর্নিশ করেছেন তিনি। দিলীপ ঘোষের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। বিজেপির ৪৪ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রায় ১০ হাজার মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এক হাজার নিরাপরাধ দলীয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে গায়ের জোরে ৩৪ শতাংশের বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত করেছে তৃণমূল। তারপরও ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সাত হাজার আসনের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিজেপি প্রার্থী জিতেছিলেন। দলের এই জয়কে নিহত কর্মীদের উদ্দেশে উৎসর্গ করে তিনি বলেন, সারা দেশ এবারের ভোটে বাংলার দিকে তাকিয়ে ছিল। মোদিজির প্রতি ভালোবাসা এবং তৃণমূলের প্রতি রাজ্যের মানুষের ক্ষোভ শাসকদলকে অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। তাঁর দাবি, লোকসভা ভোটের নিরিখে রাজ্যের ১২৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, বিধানসভা ভোট কি এগিয়ে আসবে? জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, সময়ই এর উত্তর দেবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীর্থে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিজেপি সভাপতি বলেন, প্রচারে অনেক আজেবাজে কথা বলেছেন। বারাণসীতে গিয়ে সেই পাপ ধুয়ে আসুন।