কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
তৃণমূলের ভরাডুবি হওয়ার পর থেকে বারাকপুরে হিংসা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ফের ভাটপাড়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এছাড়াও নৈহাটি, হালিশহর, বারাকপুর সর্বত্র তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকদের মারধর, বাড়ি, দোকানঘরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠছে। ভাটপাড়ার কাঁকিনাড়ায় একাধিক দোকান ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বীজপুরের হালিশহরে তৃণমূলের একাধিক অফিস দখল, বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, বাঁকুড়ার শালতোড়ায় বিদ্যুৎ দাস নামে এক বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ।
হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের চুঁচুড়া ও ধনেখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুর এবং কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে ধনেখালির সোমসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়রামবাটি ও গুড়াপের মাজিনানে দু’টি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি শুক্রবার দুপুরে গুড়াপের অঞ্চল সভাপতি সহ দু’জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতেই সাঁইথিয়া ও মহম্মদবাজারে উত্তেজনা দেখা দেয়। কোথাও তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ, কোথাও আবার বিজেপি সমর্থকদের বাড়ির সামনে বোমাবাজি করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হাঁসখালি ও ধানতলাতেও অশান্তি বেধেছে। দুপুর থেকে হাঁসখালি থানার মুড়াগাছা, গাড়াপোতা, কালীতলা এলাকায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে, ভাঙড়ে জমি কমিটির সঙ্গে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের অনুগতদের সংঘর্ষ হয়। তাতে বোমাবাজি ও গুলি চলে বলে অভিযোগ। দু’টি বাড়ি, বাইক ও একটি টাটা সুমো ভাঙচুর হয়েছে। এর প্রতিবাদে দু’পক্ষই রাস্তা অবরোধ করে।
কোচবিহারের সিতাইয়ে শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর, আসবাবপত্র বের করে পুড়িয়ে দেওয়া সহ একাধিক তৃণমূল নেতা, কর্মীর বাড়িতে হামলা, লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মাবসুনিয়ার বাড়িতেও হামলা করার চেষ্টা হয়। নৈহাটিতে অশান্তি। -নিজস্ব চিত্র