কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এবারের লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে সিপিএম তথা বামেরা। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে কোনও কেন্দ্রেই এবার খাতা খুলতে পারেনি দল। হাতছাড়া হয়েছে গতবারের জেতা রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ আসন দুটিও। ত্রিপুরার দুটো আসনেও শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে সিপিএম। একই অবস্থা কেরলে। রাজ্যে সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ জোটের সরকার থাকা সত্ত্বেও ওই দক্ষিণী রাজ্যের মাত্র একটি লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে সিপিএম। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সংগঠনের প্রকৃত হাল না জেনেই কি তবে কেন্দ্রে মোদি সরকারকে হটিয়ে বিকল্প গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সরকার গঠনের দিবাস্বপ্ন দেখছিল বামেরা? আগামী পলিটব্যুরো বৈঠকে এই যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাতেরা। এবং সেখানে সর্বাগ্রে উঠে আসবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ না থাকার তত্ত্বই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিপিএমের এক পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দলের কাছে আর নতুন কী? ২০১১ সালে যেদিন থেকে ক্ষমতা গিয়েছে, সেদিন থেকেই জনসংযোগ হারাচ্ছে দলের। তবে এর পিছনেও কারণ আছে। সিপিএম তথা বাম কর্মীদের উপর মাত্রাছাড়া তৃণমূলী সন্ত্রাস, মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনার জেরে প্রচুর দলীয় নেতা-কর্মী এখনও এলাকাছাড়া। ফলে মাঠে ময়দানে নেমে কাজই বা করবেন কারা, জনসংযোগই বা ঘটাবেন কে?’ সিপিএমের অন্দরের খবর, সংশ্লিষ্ট রাজ্যে পরাজয়ের কারণ হিসেবে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার হামলা-আক্রমণের অভিযোগকেই দায়ী করতে চলেছে দলের ত্রিপুরা শিবির। বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন বিজেপির লাগামছাড়া মাত্রাছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগই রিপোর্টে রাখতে চলেছেন ত্রিপুরার সিপিএম নেতারা। অন্যদিকে কট্টরপন্থী কেরল শিবির যাবতীয় দায় চাপাতে চাইছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর উপর।
কেরলের ওয়ানাড় কেন্দ্রে রাহুল গান্ধীর প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত আখেরে সিপিএমের বড় ক্ষতি করে দিয়েছে বলেই মনে করছেন কেরলের নেতারা। যা ওই কেন্দ্রে খোদ দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির নির্বাচনী প্রচারের পরেও সামলানো যায়নি।