পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
একটা সময় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রাস্তা বন্ধ করে বাস, গাড়ি, বাইক থামিয়ে সাধারণ মানুষকে মিষ্টি খাওয়ানো শুরু করে বিজেপির কর্মীরা। পথ চলতি মানুষ থেকে যাত্রীরা মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে নিজেরাই আবির খেলায় মেতে ওঠেন। অনেক ক্ষেত্রে উর্দিধারী পুলিসকে গেরুয়া শিবিরের মিষ্টি খেতে দেখা যায়। ট্রাফিক বিভাগের কর্তারা বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের জন্য ব্যারিকেড করে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের উপর জয়োল্লাস করার সুযোগ করে দেয়। অন্যদিকে, বিজেপি পার্টি অফিসে এদিন উল্লেখযোগ্য কোনও নেতা আসেননি। দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সুভাষ সরকাররা ব্যস্ত ছিলেন নিজেদের গণনা কেন্দ্রে। রাজ্যে বিজেপির এই সাফল্যের সুলুক সন্ধান করতে বিদেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও দেখা যায়। পাশাপাশি কলেজ স্ট্রিট সহ আশপাশের এলাকায় অন্য কাজে আসা উৎসুক জনতার অনেকেই কৌতূহল বশত বিজেপি পার্টি অফিসে ঢুকে পড়েন। গেরুয়া শিবিরের তরফে প্রচুর মিষ্টি মজুত রাখা হয়েছিল। অতিথিদের মিষ্টিমুখ করিয়ে বিদায় জানানো হয়।
বিকেলের দিকে হঠাৎ করে হাজির হয় শহরের এক নামী ব্যান্ড পার্টি। দেশাত্মবোধক গানের সুর বাজাতে শুরু করতেই রীতিমতো নাচ শুরু দেন কর্মী-সমর্থকরা। মোদি মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে কতজনের স্থান হবে, তা নিয়ে বিকেল থেকেই চর্চা শুরু হয়। সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে চারজনের নামে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন—দিলীপ ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়, এস এস আলুওয়ালিয়া এবং জয়ন্ত রায়। এরমধ্যে জয়ন্ত রায় উল্লেখযোগ্য নাম। দীর্ঘদিনের আরএসএস কর্মী। পেশায় চিকিৎসক জয়ন্তবাবু দীর্ঘদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে শীর্ষ প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছেন। স্বভাবতই তাঁর এই অভিজ্ঞতা মন্ত্রী হিসেবে অনুঘটকের কাজ করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে, এ রাজ্যে বিজেপির এই সাফল্যের অন্যতম কারিগর দিলীপ ঘোষকে মন্ত্রী করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সামান্য জটিলতা রয়েছে। কারণ, বিজেপির নীতি বলছে, এক ব্যক্তি এক পদ। ফলে মন্ত্রী হলে দিলীপবাবুকে রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়তে হবে। যদিও বিপ্লব দেব একাধারে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের রাজ্য সভাপতির পদ সামলাচ্ছেন। এখন দেখার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে, বাবুল এবং আলুওয়ালিয়া দু’জনেই বিগত মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।