কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ভোট শুরুর আগে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছে একাধিক গ্রাম। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তেজনার পারদ চড়েছে। অশান্তি বেড়েছে। দুপক্ষেরই অনেকে আহত হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য পুলিসের একাধিক কর্তার বক্তব্য, এলাকায় কোথায় কী হচ্ছে, তার খোঁজখবর রাখছে না অধিকাংশ থানা। কোথাও কোথাও ইন্সপেক্টরদের একাংশ আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো উদাসীন। যে কারণে শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে চাপা অশান্তি বা গোলমালের খবর আসছে না থানায়। পরে ঝামেলা বৃদ্ধি পেলে তা ঠেকাতে গিয়ে রীতিমতো বেকায়দায় পড়তে হয়েছে পুলিসকর্মীদের। তাঁদের হেনস্তা থেকে শুরু করে মারধর পর্যন্ত করা হয়েছে।
সেকথা মাথায় রেখে ভোটের ফল বেরনোর সঙ্গে সঙ্গেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাড়তি সতর্ক পুলিস আধিকারিকরা। যে কোনওভাবেই গোলমাল বা অশান্তি আটকাতে মরিয়া তাঁরা। যাতে বড় কিছু হওয়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। আধিকারিকদের বক্তব্য, তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিও ভালো ফল করেছে বেশ কয়েকটি জেলায়। স্বাভাবিকভাবেই একাধিক জায়গায় শাসক ও বিজেপি দুপক্ষের মধ্যে টেনশন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। যেখান থেকে বড় ধরনের গোলমালের আশঙ্কা থাকছে। সেই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য প্রতিটি থানাকেই বলা হয়েছে তাদের এলাকার কোন কোন জায়গা উত্তেজনাপ্রবণ, তা চিহ্নিত করতে। নির্বাচনের সময় ও তার আগে দুপক্ষের কোনও গোলমাল বা হাঙ্গামা হয়েছিল কি না, তার ইতিহাস বের করতে। দুপক্ষের কারা কারা এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন এবং তদন্ত কী অবস্থায় রয়েছে, কারা কারা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, সেই সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, এলাকায় ফুট পেট্রোলিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে। একইসঙ্গে অফিসাররা গাড়ি নিয়েও যাতে নজরদারি চালান, তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। যাতে নতুন করে কোনও এলাকা উত্তেজনাপ্রবণ হয়ে উঠলে তার খবরাখবর পাওয়া যায়। বিশেষত প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামগুলিতে নজরদারির উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। কমিশনারেট এলাকায় রেডিও ও ফ্লাইং স্কোয়াডের গাড়িকে ২৪ ঘণ্টাই টহল দিতে বলা হয়েছে। বড় ধরনের কোনও গোলমালের খবর এলে দ্রুত সেখানে পৌঁছতে বলা হয়েছে স্থানীয় থানাকে। জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে পুলিস লাইন থেকে বাড়তি ফোর্স ডাকার ব্যাপারে যেন কালবিলম্ব না করেন থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা।