পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জবাবে বিজেপির রাজ্য কমিটির এক নেতা বলেন, রাজ্য সভাপতি সহ পদাধিকারীরা নিজের নিজের লোকসভা কেন্দ্রে চলে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের গণনাকেন্দ্রে হাজির থাকতে হবে। অন্যদিকে, দলের কর্মীরাও এজেন্ট হিসেবে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের গণনাকেন্দ্রে ছড়িয়ে পড়েছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে জেলার কর্মী-সমর্থকদের নিজেদের এলাকায় থাকার কথা বলা হয়েছে। স্বভাবতই, অন্যান্য দিন রাজ্য দপ্তরে যে ভিড় থাকে, এদিন তা ছিল না। সূত্রের দাবি, আজ বৃহস্পতিবার দলের অবিশ্বাস্য ফলের আশায় অনেকেই এদিন উৎসব পালনের আয়োজনে মেতেছেন। উত্তর কলকাতার বিজেপি শাখার উদ্যোগে কয়েক হাজার কমলাভোগ বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই মতো বুধবার রাত থেকেই কাজে নেমে পড়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন কার্যালয়ে গেরুয়া আবির মজুত করা হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে রকমারি আতসবাজি। এছাড়াও লোকসভা ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির ছবি দেওয়া গেঞ্জি, টুপি, বিজেপির পতাকাও ঢালাও মজুত করা হচ্ছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। দেশে এবং রাজ্যে জোড়া সাফল্য উদযাপনের সমস্ত উপাদানই মজুত করে রেখেছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।
এদিকে, এদিন পার্টি অফিসে বসেই রাজ্যের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী এবং দলীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলেছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রত্যেক কেন্দ্রে গণনার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছনোর বিষয়টি তদারকি করেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভোটের বাক্সে সাফল্য মিললে কীভাবে উদযাপন করবেন? জবাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের এই প্রাক্তন প্রচারক বলেন, ভোটে জিতলে আনন্দ তো হবেই। তবে একইসঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট থেকে চলতি লোকসভা ভোট পর্যন্ত ৫৩ জন কর্মী খুনের দুঃখও মনে থাকবে। গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন হওয়া ২০ বছরের ত্রিলোচন মাহাতর বাবাকে আমি কী জবাব দেব? বর্ধমানের যে বিজেপি কর্মীরা আজও জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন, তাঁদের এই আত্মত্যাগের কথা বারবার মনে পড়ছে। সংগঠনের শক্তিতে বিজেপি এ রাজ্যে ভালো ফল করবে বলে আশাবাদী সুব্রতবাবু। তাঁর দাবি, এই সাফল্য পুরোপুরি আমাদের কর্মী-সমর্থক ও রাজ্যের মানুষের।