কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ সহ অধিকাংশ রাজ্যে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে সরবরাহ করা চাল-গমের জন্য রেশন ডিলারদের কমিশন বাবদ যে অর্থ দেওয়া হয়, তার অর্ধেক কেন্দ্র সরকার দিয়ে থাকে। কয়েকটি বিশেষ রাজ্যকে এই খাতে ৯০ শতাংশ কেন্দ্র দেয়। পশ্চিমবঙ্গে রেশন ডিলারদের কুইন্টালে ৫৪ টাকা কমিশন দেওয়া হয়। বাকি ১৬ টাকা রেশন ডিস্ট্রিবিউটরদের দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার অনেক আগেই রেশনের খাদ্যসামগ্রী বণ্টনের ক্ষেত্রে ডিস্ট্রিবিউটরদের না রাখার কথা জানিয়েছে। রেশন ডিলারদের সরাসরি খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হোক, এটাই কেন্দ্র চাইছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে রেশন ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে বণ্টন বহু বছর ধরে চলে এসেছে। খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, ডিস্ট্রিবিউটরদের বাদ দিয়ে নতুন বণ্টন ব্যবস্থা তৈরি করতে সময় লাগবে।
যদিও রেশন ডিলারদের সংগঠনের দাবি, পুরো কমিশন তাদেরই দিতে হবে। কমিশন আরও বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন ডিলাররা। রেশন দোকানে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস যন্ত্র চালু করতে হলে কুইন্টাল প্রতি আড়াইশো টাকা কমিশনের দাবি তোলা হয়েছে। ওই যন্ত্র ভোটের আগে ডিলারদের দেওয়া হলেও এখনও তা চালু হয়নি। যদিও রাজ্য খাদ্য দপ্তর যন্ত্র চালু করার জন্য চাপ বজায় রেখেছে। তবে কমিশন আরও বৃদ্ধি করতে কোনও অবস্থাতেই রাজি নয় রাজ্য সরকার। তার বদলে রেশন ডিলারদের বিকল্প পথে আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করছে সরকার।