বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নেপালের পর্যটন মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়ের জন্য একেবারে শেষ ধাপে গিয়ে অপেক্ষা করছেন প্রায় দুই শতাধিক পর্বতারোহী। ক্যাম্প-৪’এর উপরে থাকা এরকম বেশ কয়েকজন পর্বতারোহী বুধবার বেস ক্যাম্পকে জানিয়েছেন, এদিন সকালে শৃঙ্গ ছোঁয়ার জন্য প্রায় দু’ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে তাঁদের। আবহাওয়া খারাপ হয়ে যাওয়ায়, অনেকেই শেষ পর্যন্ত শৃঙ্গ ছুঁতে পারেননি। তাঁদের ফের ক্যাম্প-৪’এ ফিরে আসতে হয়েছে।
আজ, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা ফের শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করবেন। নেপাল পর্যটন মন্ত্রকের মুখপাত্র মীরা আচার্য জানিয়েছেন, এবছর নেপাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৮১ জন পর্বতারোহীকে এভারেস্ট শৃঙ্গ আরোহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১৪ জন নেপালের। ৩৬৭ জন বিদেশি রয়েছেন। যার মধ্যে আবার সর্বাধিক ৭৭ জন ভারতীয়, ৭৫ জন আমেরিকার এবং ৬০ জন চীনের পর্বতারোহীও ছিলেন।
এভারেস্ট বেসক্যাম্পে থাকা নেপাল প্রশাসনের সংযোগকারী অফিসার জ্ঞানেন্দ্র শ্রেষ্ঠা জানিয়েছেন, ২১ মে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়ের জন্য ১২২ জন পর্বতারোহী লাইনে ছিলেন। ২২ মে সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি ছিল, ২৯৭ জন। আবার ২৩ মে ১৭২ জন পর্বতারোহী শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে এই লাইনে থাকবেন। এদের মধ্যে অনেকেই ভিড়ের কারণে সময়ে শৃঙ্গ আরোহণ করতে পারবেন না। তাঁদের জন্য আগামী ২৮ মে ফের দিন ধার্য করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। যদিও এখানে উল্লেখ্য, প্রতিবছরের মতো এবছরও আবহাওয়াগত কারণে ২৮-২৯ মে থেকে এভারেস্ট শৃঙ্গ আরোহণ এই মরশুমের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে এখনও যে বিপুল সংখ্যক পর্বতারোহীরা লাইন দিয়ে শৃঙ্গ জয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন, তাঁরা সকলে আগামী চার-পাঁচদিনের মধ্যে শৃঙ্গ জয় করতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার।
সূত্রের খবর, রাজ্যের এক পর্বতারোহী পিয়ালি বসাকও এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়ের জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষায় রয়েছেন। নেপাল প্রশাসনের অন্য একটি সূত্র বলছে, হাতে এখনও চার-পাঁচদিন সময় থাকলেও, আদৌ ততদিন অভিযান খোলা রাখা যাবে কি না, তা সন্দেহজনক। কারণ আবহাওয়ার যা পূর্বাভাস এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে, তাতে আগামী দু’দিন (২৩ ও ২৪ মে) আবহাওয়া ঠিক থাকবে। তারপর থেকেই আবহাওয়ার অবনতি হতে থাকবে। এখন এই দু’দিনের মধ্যে সকল পর্বতারোহী যদি নিজেদের অভিযান শেষ করতে পারেন, তাহলে ভালো। নতুবা অনেককেই খালি হাতেও ফিরে আসতে হতে পারে।