রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপরও যদি দেখা যায়, রাস্তা খারাপ হয়ে রয়েছে এবং মেরামতের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি, সেক্ষেত্রে যে আধিকারিক রাস্তা পরিদর্শন করেছিলেন, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। গোটা বিষয়টি তদারকি করে সমস্ত সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারদের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত প্রতি ১৫দিন অন্তর রাস্তা সম্পর্কে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। জোনাল চিফ ইঞ্জিনিয়াররা সেই রিপোর্ট পাঠাবেন হেড কোয়ার্টারের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে। বর্ষা আসার আগে সড়ক মেরামত সংক্রান্ত এহেন কড়া নির্দেশিকা (১এম-৭/১৯/৫৫৬-আর/পিএল) জারি করেছেন পূর্ত দপ্তরের প্রধান সচিব অর্ণব বিশ্বাস।
পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দেশে প্রধান সচিব জানিয়েছেন, রাস্তা সংস্কারের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ এমনভাবে নিতে হবে, যাতে কোথাও কোনও খানাখন্দ বা ভাঙাচোরা না থাকে। বর্ষাকালে যাতে নিত্যযাত্রী ও গাড়ি চলাচলে কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয়। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, রাস্তা সংস্কারের এই জরুরি নির্দেশনামায় ফিল্ড লেভেল ইঞ্জিনিয়ারদের উপর সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব বর্তালেও, গোটা বৃত্তে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে হেড কোয়ার্টারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার পর্যন্ত সবাইকে রাখা হয়েছে। যাতে কেউ কারও উপর দোষ চাপিয়ে রেহাই পেতে না পারেন। পরিদর্শনের সময় যদি দেখা যায়, ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ডের (চুক্তি অনুযায়ী, রাস্তা তৈরির পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের উপর তা নিয়মিত সংস্কার করার জন্য যে নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ থাকে) মধ্যে কোনও রাস্তা খারাপ হয়েছে, তাহলে তৎক্ষণাৎ ওই ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পূর্ত দপ্তরের প্রধান সচিবের নির্দেশ, যদি দেখা যায়, কোনও খারাপ রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে, অথচ তা গাড়ি চলাচলের উপযোগী নয়, তবে পুরো কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ঠিকাদার সংস্থাকে ওই রাস্তাকে যান চলাচলের উপযুক্ত করে রাখতে হবে। অন্যথায় চুক্তি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।