গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সপ্তম দফার ভোট শেষ হতেই যে ক’টি নামজাদা সংবাদমাধ্যম ও সমীক্ষাকারী সংস্থার এক্সিট পোল সামনে এসেছে, তার বেশিরভাগই বিজেপি’কে এককভাবে ৩০০’র বেশি আসন দিয়েছে। এমনকী ৩৫০টি আসন পেতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি, এমন কথাও বলছে একটি সংস্থার সমীক্ষা। ৩০০ আসনের কম পাবে বিজেপি, এমন দাবি করেছে মাত্র দু’-একটি সমীক্ষা। কিন্তু সাট্টা বাজার এই সমীক্ষাকে আঁকড়ে ধরে বাজি ধরতে রাজি নয়। ৩০০ আসন পাবে বিজেপি, এমন মনে করছে না সাট্টার আসর। বড়বাজারে বিজেপি’র জেতার মাপকাঠি ধরা হয়েছে ২৯০টি আসন। কেউ যদি মনে করে ওই সংখ্যার নীচে আসন মিলবে বিজেপি’র, এবং তা যদি সত্য হয়, তাহলে যত টাকা বাজি ধরবে সে, তার দ্বিগুণ টাকা মিলবে। না মিললে পুরো টাকাই জলে যাবে।
ঠিক একইভাবে এ রাজ্যে বিজেপি ১৩টি থেকে ১৫টি আসন পাবে বলে মনে করছে সাট্টার কারবারিরা। কংগ্রেস বা সিপিএম ক’টা আসন পাবে, তা নিয়ে অবশ্য তেমন আগ্রহ নেই বড়বাজারে। বরং তাদের বেশি উৎসাহ কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের ফলাফল কী হবে, তার উপর। এক জুয়াড়ির কথায়, দিন কয়েক আগেও ৪০ পয়সা দর যাচ্ছিল তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এর অর্থ, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যেতে পারেন, এমন সম্ভাবনা প্রবল হয়েছিল। কেউ যদি ১০ পয়সা হিসেবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেতার বিষয়ে বাজি ধরত, তাহলে তিনি জিতলে, ওই জুয়াড়ি ৪০ পয়সা ফেরত পেত। সেই ‘ডিল’ এখনও চলছে বলেই জানা গিয়েছে। ভোটের আগে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ উত্তর কলকাতায় রোড শো করার পর সন্ধ্যায় যখন রাজনৈতিক হিংসায় জ্বলছিল কলকাতার উত্তরভাগ, তখনই জুয়ার আসরে ৪০ পয়সায় ‘নেমে’ যান সুদীপ। জুয়ায় সহজ পাটিগণিতটি হল, যাঁর জেতার সম্ভবনা যত কম, তাঁর দর তত বেশি। কারণ ‘রিস্ক’ বা ঝুঁকি বেশি। কিন্তু বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার বিষয়টি যেভাবে রাজনৈতিক মোড় নিতে শুরু করে, তাতে সুদীপের দর নেমে আসে ৪০ পয়সা থেকে ১২ পয়সায়। অর্থাৎ যারা ১০ পয়সায় বাজি ধরেছে, সুদীপ জিতলে তারা ১২ পয়সা ফেরত পাবে। জুয়াড়িরা বলছে, যারা ৪০ পয়সা দরে সুদীপের বাজি ধরে এখন চিন্তায় পড়ে গিয়েছে, তারাই আবার উল্টো পথে বেশি টাকা লাগাচ্ছে ১২ টাকার বাজিতে।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেডারাল ফ্রন্টের ব্যাপারে বড় ঝুঁকি নিচ্ছে জুয়াড়িরা। ১০ পয়সার বাজিতে ফ্রন্ট গদিতে এলে মিলবে ২৪ পয়সা। জুয়াড়িদের কথায়, সেই সম্ভাবনা বড়ই কম। তাই তার হয়ে বাজি ধরলে, বাড়তি দাম চোকাতে হতে পারে।