কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এবারও পাশের নিরিখে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। মেধা তালিকায় এই জেলার তিনজন পড়ুয়া জায়গা করে নিয়েছে। সার্বিক পাশের হারে তারপরই রয়েছে কলকাতা। এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০,৫০,৩৯৭ জন। তার মধ্যে ৪,৫৯,২১৮ জন ছাত্র এবং ৫,৯১,১৭৯ জন ছাত্রী। অর্থাৎ, এবার ১২.৫৬ শতাংশ বেশি ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে। পর্ষদ সভাপতির কথায়, গত তিন বছর ধরে এই সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এবার পর্ষদের প্রকাশিত মেধা তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ৫১ জন। তার মধ্যে ২১ জনই ছাত্রী। মেধা তালিকায় আধিপত্য জেলাগুলির। ওই তালিকায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার ছাত্রছাত্রীরা ঠাঁই করে নিয়েছে। তবে সব জেলাকে ছাপিয়ে গিয়েছে বাঁকুড়া। এই জেলা থেকে মেধা তালিকায় আছে দশজন। ট্যুইট করে মাধ্যমিকে সফল প্রার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠিও এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে প্রার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আশাপ্রকাশ করে বলেছেন, তাঁরা জীবনে সফল হবেন। পাশাপাশি দেশের এবং দশের সেবায়ও কাজে লাগবেন।
এবার মাধ্যমিকে প্রায় প্রতিটি পরীক্ষা শুরু হতেই হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এদিন পর্ষদ সভাপতি বলেন, আমার কাছে ১৩৬টি অভিযোগ এসেছিল, যেখানে প্রায় সবাই অসৎ উপায়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। তার মধ্যে মোট ৭৩ জন পরীক্ষার্থীর খাতা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ৬৩ জনকে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের সৌগত দাস দিল্লি বোর্ডের সমতুল্য নম্বর পেয়েছে। তাহলে কি পর্ষদ এবার আইসিএসই এবং সিবিএসই বোর্ডের পথেই হাঁটতে শুরু করল? কল্যাণময়বাবুর কথায়, যে যেমন পরীক্ষা দিয়েছে, সে তেমন নম্বর পেয়েছে। কোনও বোর্ডের ধারাকে অনুসরণ করা হয়নি। এদিকে, এবারের ফলে আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিজ্ঞান বিষয়ে ‘এএ’ বা ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে। তবে ভূগোলে গতবারের চেয়ে এই সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে।
মেয়েদের মধ্যে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে আলিপুরদুয়ারের শ্রেয়সী পাল এবং কোচবিহারের দেবস্মিতা সাহা। সার্বিকভাবে তারা দ্বিতীয় হয়েছে। দু’জনই পেয়েছে ৬৯১। দেবস্মিতা জানিয়েছে, লক্ষ্য স্থির করে প্রস্তুতি নেওয়াতেই সাফল্য এসেছে। ভবিষ্যতের পরীক্ষার্থীদের এটাই পরামর্শ তার। প্রথম স্থানাধিকারী সৌগতর বক্তব্য, ভেবেছিলাম প্রথম দশে থাকব। কিন্তু একেবারে ফার্স্ট, ভাবিনি। তৃতীয় হয়েছে রায়গঞ্জ গার্লস হাইস্কুলের ক্যামেলিয়া রায়। এই সাফল্য নিয়ে তার বক্তব্য, ভালো পরীক্ষা দিয়েছিলাম। ভালো নম্বর পাব, সেটাও আশা করেছিলাম। র্যাঙ্ক পাওয়া অবশ্য ভাগ্যের ব্যাপার। আগামীদিনে গবেষণাই তার লক্ষ্য।