বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সরকারি কর্মীদের স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুযোগ না নেওয়া কর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীদের জন্য এই প্রকল্পে নাম ঢোকানোর সুযোগ গত কয়েক বছর ধরে দেওয়া হচ্ছিল। অর্থ দপ্তর এব্যাপার নির্দেশিকা জারি করে সময়সীমা বাড়িয়ে দিত। গত ১১ অক্টোবর অর্থ দপ্তর এই সংক্রান্ত শেষ নির্দেশিকটি জারি করে। এতে গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্বাস্থ্য প্রকল্পে নাম ঢোকানোর সুযোগ ছিল। ওই সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পর অর্থ দপ্তর নতুন করে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি। ফলে নতুন করে স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুযোগ নেওয়ার জন্য আবেদন করা যাচ্ছে না।
স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুযোগ নেওয়ার সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করার অনুরোধ করে অর্থ দপ্তরের প্রধান সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদিকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। সংগঠনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই চিঠিতে কী কারণে নতুন করে সময় দেওয়া দরকার, তার ব্যাখা দিয়েছেন। সংগঠনের আশা, লোকসভা নির্বাচনের পর্ব মিটে গেলে অর্থ দপ্তর এব্যাপারে উদ্যোগী হবে। গত ১০ মার্চ আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যাওয়ার কারণে অর্থ দপ্তর নতুন করে নির্দেশিকা জারি করেনি, এটাও হতে পারে।
নতুন নির্দেশিকা জারি না হওয়ার জন্য আরও কিছু কর্মী ও পেনশনভোগী অসুবিধায় পড়েছেন। প্রকল্পটি চালু হওয়ার সময় অনলাইনে আবেদন করার ব্যবস্থা ছিল না। পরে তা চালু হয়। কিন্তু অনলাইনে আবেদন না করে থাকলে ক্যাশলেস চিকিৎসার পরিষেবা মেলে না। ফলে বেশ কিছু সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগী প্রকল্পের মধ্যে থেকেও ক্যাশলেস সুবিধা পাচ্ছেন না। তাঁদের এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচের ক্ষেত্রেও পরে বিল পেশ করে টাকা নিতে হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় টাকা পেতে কয়েক মাস লেগে যায়। এখন অনলাইনে আবেদন করার সময় ছবি, সই, রক্তের গ্রুপ প্রভৃতি আপলোড করতে হয়। দার্জিলিংয়ের পাহাড়ের এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের নাম থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা খরচের টাকা না মেলায় ক্ষুব্ধ বহু কর্মী প্রকল্প থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। গোর্খা হিল কাউন্সিলের অধীনস্থ সরকারি দপ্তরগুলিতে কয়েক বছর আগে এটা হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি পরিবর্তন হওয়ায় সেখানকার ওই কর্মীদের অনেকেই স্বাস্থ্য প্রকল্পে আসতে চাইছেন।
নতুন করে নির্দেশিকা জারি না হওয়ায় এখন শুধু নতুন কাজ পাওয়া সরকারি কর্মীরা দুই বছরের মধ্যে প্রকল্পের সুযোগ নেওয়ার আবেদন করতে পারেন। এই ব্যবস্থা সবার জন্য সব সময় চালু থাকুক, এটাই চাইছে কর্মী সংগঠন।