বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রত্যাশার কথায়, আমার পড়াশোনার নির্দিষ্ট কোনও রুটিন ছিল না। দিনে ৬-৭ ঘণ্টা পড়তাম। আমি ভেবেছিলাম, আমার ফল ভালো হবে। আমার সেই আশা সফল হয়েছে। আমার এই ভালো ফলের জন্য স্কুলের শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। পাঠপুস্তক ছাড়া বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাস আমার প্রিয়।
ওই বাড়িতে জেঠুর কাছে মানুষ হয়েছে প্রত্যাশা। তাঁর জেঠু রণজিৎকুমার মজুমদার প্রাক্তন শিক্ষক। তিনি এদিন জানান, আমি কোনও পড়া দিলে ছোট থেকেই ও তাড়াতাড়ি মুখস্থ বলে দিত। আমি জানতাম ও র্যা ঙ্ক করবে। এদিন যখন টিভিতে যারা র্যা ঙ্ক করেছে তাদের নাম বলা হচ্ছিল, আমার টেনশন হচ্ছিল। কেন প্রত্যাশার নাম শুনতে পাচ্ছি না। যখন শুনতে পেলাম, গর্বে বুক ভরে উঠল। আমি অনেক পড়ুয়া তৈরি করেছি। তবে এখন মনে হচ্ছে আমি সার্থক। আমি চেয়েছি ও আদর্শ মানুষ হবে। প্রত্যাশার মা শিখা মজুমদার এদিন জানান, ও প্রতি বছর ক্লাসে প্রথম হয়েছে। এমনকী মাধ্যমিকের মকটেস্টেও প্রথম হয়েছে। এদিন ফল প্রকাশের পরে প্রত্যাশার সঙ্গে দেখা করতে যান উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তী, স্থানীয় কাউন্সিলার সুস্মিতা দাশগুপ্ত। কাউন্সিলার জানান, আমরা ওকে সংবর্ধনা জানাব।
এদিকে, বিধাননগর মহকুমার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে সল্টলেকের লবণহ্রদ বিদ্যাপীঠের ছাত্র রাহুল মিত্র। সে ৬৭৮ নম্বর পেয়েছে। রাজ্যে তার র্যা ঙ্ক ১৩।