গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যায় ভুগছে রাজ্য সিপিএম। গত সাত-আট বছরে জনসমর্থনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একদা ঠাসবুনোটের দলীয় সংগঠনের গ্রাফও নিম্নমুখী হয়েছে। গত দেড়-দু’বছরে দলের কর্মসূচিতে আগের তুলনায় জমায়েতের বহর আশানুরূপ হলেও বুথ স্তরে নির্বাচনী সংগঠনের ক্ষেত্রে খামতি থেকেই গিয়েছে। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সেই দুর্বলতা যে এখনও কাটেনি, সেটা এবারের ভোটে ফের সামনে এসেছে নেতৃত্বের। এই পরিস্থিতিতে এখন সামনে গণনার পালা। কিন্তু প্রায় সব এক্সিট পোলের ফলেই এরাজ্যে বামেদের ঝুলিতে কোনও আসন না মেলার ইঙ্গিত দেওয়ার পর গোটা বাম শিবিরে সামগ্রিকভাবে হতাশার পাশাপাশি নানা প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। তবে এনিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় গণনার প্রাক্কালে সাংগঠনিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, তা বিলক্ষণ জানেন সূর্যবাবুরা। তাই দল বা বামফ্রন্টের কাউন্টিং এজেন্টরা যাতে গণনাকেন্দ্রে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের কর্তব্য পালন করেন, তা নিশ্চিত করতেই ওই বার্তা দিয়েছেন তিনি।
এই অবস্থায় দলের কর্মীদের চাঙা রাখতে সূর্যবাবু তাঁর বার্তায় বলেছেন, অতীতে অন্তত পাঁচটি লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এক্সিট পোলের সঙ্গে মূল ফলের বিস্তর ফারাক ধরা পড়েছে। এসব ক্ষেত্রে বিজেপি’কে এক্সিট পোলে জয়ী দেখানো হয়েছিল। একইভাবে এবারেও এই ধরনের ফল প্রকাশ করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। এই সমীক্ষার ইঙ্গিতের সঙ্গে বাস্তবের মিল নাও থাকতে পারে। কারণ, এই ধরনের সমীক্ষার তেমন যুক্তিগ্রাহ্য ভিত্তি নেই। তাই এক্সিট পোলের ফল নিয়ে অযথা বিভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। বরং ২৩ তারিখ গণনাকেন্দ্রে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে কর্মীদের। সেই মনোভাব নিয়েই তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে সেদিন।
এদিকে, শেষ দফার ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে সরব হয়েছে সিপিএম। এই কেন্দ্রের ফলতা ও বজবজ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৩৫৪টি বুথে ভোট লুটের অভিযোগে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে তারা। সোমবার স্ক্রুটিনি পর্বে দলের তরফে এই সব বুথে শাসকদলের তরফে একতরফা ছাপ্পা-রিগিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়। দলের জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই বুথগুলিতে ভোটারদের সিংহভাগই চূড়ান্ত সন্ত্রাসের কারণে ভোট দিতে পারেননি। ভোট চলাকালীন বারবার নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চাইলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী বা কুইক রেসপন্স টিমের কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখা যায়নি। আসলে এই জেলায় বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে আসনওয়াড়ি গোপন সমঝোতা হয়েছে। সেটা ভোটের দিন স্পষ্ট হয়েছে। হেভিওয়েট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রটি বিজেপি ছেড়ে দিয়েছে তৃণমূলকে। বদলে পাশের মথুরাপুর কেন্দ্রটি বিজেপিকে ছেড়ে দিয়েছে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডহারবার নিয়ে বহু অভিযোগ থাকলেও যাদবপুর কেন্দ্রের জন্য কোনও পুনর্নির্বাচনের দাবি করেনি সিপিএম। যদিও এই কেন্দ্রের বেশ কিছু বুথে তৃণমূল কমবেশি ছাপ্পা দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তারা।