পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অন্যদিকে, এক্সিট পোলের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই তৃণমূল সহ বিভিন্ন দলের বিধায়করা তাঁকে ফোন করছেন বলেও দাবি করেছেন দিলীপবাবু। তাঁর কথায়, শুধু তৃণমূল নয়, বিভিন্ন দলের বিধায়করা ফোন করে জানতে চাইছেন, কেমন আছি, খবর কী ইত্যাদি। উল্লেখ্য, ভোট প্রচারে এসে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, রাজ্যের ৪০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, বিজেপির চমকপ্রদ ফলের আশায় বিধানসভার বহু সদস্য কি সত্যিই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন? জবাবে খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ৪০ জনের কথা বলেছেন। আমার কাছে ১০০ বিধায়কের খবর আছে। যাঁরা আমাদের দলে আসতে চান, তাঁদের সাদরে গ্রহণ করব। রাজ্যে পট পরিবর্তনের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, ২০২১ পর্যন্ত তৃণমূল টিকবে না।
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বিজেপির মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের এই প্রার্থী আরও বলেন, গত তিন বছর ধরে আমরা মার খাচ্ছি। পঞ্চায়েত ভোটে আমাদের ৪৪ জন কর্মী মারা গিয়েছে তৃণমূলের হাতে। মেদিনীপুরে ভয় দেখাতে গিয়েছিল, পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তেমনই ভোটের ফল বেরনোর পর যারা গণ্ডগোল করবে, তাদের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে পদ্ম বাহিনী। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আমরা আগেই দাবি করেছিলাম, ভোট মিটে যাওয়ার পরও হিংসা রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যেন আরও কিছুদিন রেখে দেওয়া হয়। বাংলার পরিস্থিতি বুঝে এখন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছে একই দাবি তুলেছেন। তৃণমূল নেত্রী নিজের হার সহজে মেনে নিতে পারবেন না বলেই এই পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা হয়েছে বলেও জানান দিলীপবাবু। তাঁর দাবি, এ রাজ্যে বিজেপির আসন প্রাপ্তি সব সমীক্ষাকে ছাপিয়ে যাবে। ২৩টির বেশি আসন এ রাজ্য থেকে তাঁরা জিততে চলেছেন। মেদিনীপুর কেন্দ্রেও গেরুয়া ঝড় বইবে বলে মনে করেন আরএসএস-এর এই প্রাক্তন প্রচারক।