বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শরীরের কারণে সিপিএমের এই প্রাক্তন নেতা এবার ভোটের প্রচারে নামতেই পারেননি। কার্যত গৃহবন্দি হয়েই দিন কাটাচ্ছেন এখন বুদ্ধদেববাবু। গত ফেব্রুয়ারিতে বামফ্রন্টের ব্রিগেড সমাবেশে শেষবারের জন্য বেরিয়েছিলেন তিনি। তাও ধুলো ও রোদের কারণে তিনি সেদিন গাড়ি থেকে না নেমে মঞ্চের নীচেই অবস্থান করেছিলেন। তবে সেই ব্রিগেড সমাবেশের আগেও তার সাফল্য কামনা করে তিনি বিবৃতি দিয়েছিলেন। একইভাবে এবার ভোটের প্রচারে না নামলেও দিন কয়েক আগে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি তাঁর মনোভাব স্পষ্ট করেছিলেন। তৃণমূল ও বিজেপিকে এক হাত নিয়ে তিনি এই দুই দলকে সমর্থন করার অর্থ যথাক্রমে ফুটন্ত তেলের কড়াই এবং জ্বলন্ত উনুন বলে অভিহিত করেছিলেন। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সহ অন্যান্য নেতারা এই সময়ের মধ্যে তাঁর সঙ্গে দেখা করে রাজনৈতিক আলোচনাও করে আসেন। সেই আলোচনাতেই তিনি ভোট দেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন। শেষমেশ অবশ্য সেই অশক্ত শরীরই তাঁর ভোট না দেওয়ার নজির তৈরি করল। এদিন সকালেই দলের বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসু আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলের সদর দপ্তরের কাছে অবস্থিত একটি স্কুলে ভোট দেন। পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম সপরিবারে ভোট দেন খিদিরপুরের সেন্ট থমাস স্কুলে। দলের অন্যতম মুখ তথা বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী সোনারপুরে তাঁর বাড়ির কাছে বুথে ভোট দেন।